নির্বাচিত হলে নকল মশার কয়েল উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ বৈধ মশার কয়েল উৎপাদকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশ মসকুইটো কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বিএমসিএমএ) নির্বাচনের সন্মিলিত ঐক্য পরিষদ।
রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে মশার কয়েল উৎপাদন ও বিপনণে সমস্যা বিষয়ক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়। মতবিনিমিয় সভাটি কসমো গ্রুপের সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএমসিএমএ’র সভাপতি ড্যানিয়েল এগ্রোক্যামিকেলের কর্ণধার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ সহ এসোসিয়েশনের সদস্যরা। পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সভাটির মূল উদ্দেশ্য মশার কয়েল উৎপাদন ও বিপনণে সমস্যা বিষয়ক হলেও সেখানে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় উঠে আসে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিএমসিএমএ’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। সেখানে এসোসিয়েশন থেকে দুইটি প্যানেল নির্বাচন করবে। দ্বি-বার্ষিক এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ১৫ জন করে প্রার্থি লড়বে প্যানেল ওয়ান এবং সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ থেকে।
সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে লড়বেন এসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ। নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সমমনা এবং মানুষদের নিয়েই আমরা আমাদের প্যানেল সাজিয়েছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমাদের এই শিল্পের জন্য কাজ করবো। আমাদের প্রধান কাজ হবে ‘বাংলাদেশে নকল কয়েল প্রতিরোধ করা।
সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সাধারন সম্পাদক পদে লড়ছেন এম. কে ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মোঃ কামরুল হাসান।
অন্যান্য বিভিন্ন পদে লড়াই করছেন, মোঃ আসাদ আল মফিজ (মেসার্স আসাদ এন্টারপ্রাইজ), মোঃ গোলাম ইয়াজদানী (জয় ক্যামিক্যাল কোম্পানি), মোঃ নূরুজ্জামান (নবীয়ত), মোঃ নজরুল ইসলাম (মেসার্স সুনন ইন্টারন্যাশনাল), মোঃ লাভলু শেখ (মেসার্স মারুফ এন্টারপ্রাইজ), মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (শোভা কনজুমার কেয়ার), মোঃ আশ্রাফুল আলম রুজেন (মেসার্স রুহান এন্ড রাতুল কযামিকেল ওয়ার্কস), তোফাজ্জল আলম (মেসার্স আলম ট্রেডিং), মোঃ নূরুজ্জামান মিয়া ( পাফেক্ট কেমিক্যাল কোম্পানী), মোঃআনিছুর রহমান ভূইয়া ( আর. কে কেমিক্যাল কোম্পানী), রেজওয়ান আহম্মেদ রাজু ( কোয়ালিটি ক্রাফট বিডি লিমিটেড), মোঃ হারুন অর রশিদ খাঁন (হারুন এন্টারপ্রাইজ), এ. কে. এম আসাদুজ্জামান (মেসার্স সেবা কর্পোরেশন)।
ঐক্য পরিষদের প্রার্থীদের দাবি, নির্বাচিত হলে নকল মশার কয়েল উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ বৈধ মশার কয়েল উৎপাদকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করবে তারা।