বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) পরিচালনা পরিষদের ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে পরিচালক নির্বাচনের পর আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন সংগঠনের শীর্ষ ৫টি পদের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
ঢাকায় সমিতির কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনে ৫টি শীর্ষ কর্মকর্তা পদে পাঁচটি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এসব পদের বিপরীতে অন্য কোন প্রতিদ্বন্দী না থাকায় নির্বাচন কমিশন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তাদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচিতরা হলেনঃ সভাপতি- মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি এ কে এম মোস্তফা সেলিম, সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন আলমগীর এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন মনির উদ্দিন আহমেদ।
ঢাকায় ১৬টি পরিচালক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হলেও গত ৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংগঠনের ৫টি পরিচালক পদে ওই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেদিন এতে মোট ১০৬ জন ভোটারের মধ্যে ৭৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে মোয়াজ্জেম হোসেন মতি ও মোঃ বেলাল এর পরিষদ ৫৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। মোট ১১ জন প্রার্থী চট্টগ্রামে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। সেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫জন পরিচালক।
এর আগে বিজিএপিএমইএ পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে (২০২১-২০২৩) ঢাকায় ১৬ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজিএপিএমইএ সূত্র জানায়, সংগঠনটির সংবিধান অনুযায়ী দুই বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদি ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। তবে এতদিন নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসছিল। প্রায় ১ হাজার ৮০০ সদেস্যর সংগঠনে গণতান্ত্রিক উপায়ে সরাসরি নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি।
এ বছরও ঢাকায় ১৬ জন পরিচালক পদের বিপরীতে ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ত্রুটির কারণে দুটি ফরম বাতিল হয়। তবে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে দূরে ঠেলে বাকি ৪০ জনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ১৬ জনকে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এবার সমঝোতার মাধ্যমে ঢাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৬ জন পরিচালক হলেন- বিসমিল্লাহ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার মোজাহারুল হক শহিদ, আদজি ট্রিমসের শাহরিয়ার, টোয়াইস পলি ব্যাগ থ্রেড ইন্ডাস্ট্রিজের সালেহ আহমেদ বাবু, সেনজেন মেটাল লিমিটেডের ওমর ফারুক, ইউনিয়ন লেভেলের মো. মনিরুজ্জাম মোল্লা, সানস প্যাকেজিংয়ের একেএম মোস্তফা সেলিম, ক্লাসিক কার্টন লিমিটেডের মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, গোল্ডেন ক্রাউন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের হাসানুল করিম তমিজ, শিমুলিয়া ফ্যাশন ওয়্যারের খান নজরুল ইসলাম হান্নান, এসএনডি স্কয়ার ইন্টারন্যাশনালের মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ, নিক্সন বক্স ইন্ডাস্ট্রিজের মো. সুলতানুল ইসলাম তারেক, সেলিনা এ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, আর এসএস থ্রেডের মো. আবদুন নুর, এজেড ট্রিম লিমিটেডের মো. আতিকুর রহমান, প্যারামাউন্ড এ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের মনির উদ্দিন আহমেদ এবং হৃদয় রিফাত ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জহির উদ্দিন আলমগীর।
৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে সংগঠনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৫জন পরিচালক নির্বাচিত হন। তারা হলেন- এবিএস কার্টন এন্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজের মোহাম্মদ বেলাল, জেএসএন এন্টারপ্রাইজের মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, জাস এক্সেরিজ লিমিটেড এর মোঃ আবদুল ওয়াজেদ, প্রাইম লেবেল এন্ড এক্সেসরিজ এর মোঃ ইকবাল পারভেজ এবং মিলেনিয়াম এন্টারপ্রাইজের মোঃ এনামুল হক।
বর্তমানে ১ হাজার ৮শ সদস্যের বিজিএপিএমইএর এই সংগঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে একজন সভাপতি এবং একজন প্রথম সহসভাপতি। তিনজন সহসভাপতি আর বাকিরা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজিএপিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিজিএপিএমইএর নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও নির্বাচনী বোর্ডের দুই সদস্য এম কাওছারুজ্জামান এবং মো. ইসমাইল চৌধুরী বাদল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী দুই বছর (২০২১-২৩ ) মেয়াদে আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকায় ১৬টি পরিচালক পদ এবং চট্টগ্রামে ৫টি মিলিয়ে মোট ২১টি পরিচালক পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এজন্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৪ অক্টোবর, ওই দিনই মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ ছিল। কিন্তু ঢাকায় ১৬ জন বেশি পরিচালক পদে প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবাই নির্বাচিত হয়েছেন।