সে টেস্টের জন্য ফিট নয়, তাকে দিয়ে টেস্ট খেলা হবেনা! তাকে ওয়ানডেতেই বেশি মানায়। শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন করা হলো বাংলাদেশের সবচাইতে নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারকে। এর আগের টেস্ট সিরিজ গুলোতেও দলে রাখা হয়নি তাকে। কারণ ওই যে সে টেস্টের জন্য ফিট না! কিন্তু অদ্ভুত এক কারণে হুট করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমকামাত্র টেস্টে দল ডাকা হলো, তাও আবার দল ঘোষণার পরে নতুন করে যুক্ত করা হলো তাকে। এর কারণ হিসেবে বিসিবির পরিষ্কার কোন ব্যাখ্যা ছিলো না।
এতক্ষণ বলছিলাম টাইগার ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন রিয়াদের কথা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনে যখন বাংলার সেরা ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে ব্যর্থ, ঠিক তখনই জ্বলে উঠলো রিয়াদের ব্যাট। টেস্ট খেলতে না জানা এই ক্রিকেটারের ঝুলিতে রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি, ফিফটি রয়েছে ১৬টি। যা বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ অনেক টেস্ট ব্যাটারেরও নেই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান যেখানে রিয়াদের সংগ্রহ ৫৪রান। দিন শেষে অপারিজত রয়েছেন তিনি। তার সাথে অপরাজিত আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদ। সাকিব ৩, মুশফিক ১১, শান্ত ২ আফিফ শূন্য, সাদমান মাত্র ২৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেও দেশের মান বাঁচাতে বুক চিতিয়ে লড়েছে মুমিনুল, লিটন কুমার দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ব্যাট হাতে ৯২ বলে ৭০ রান করে যখন টাইগার ক্যাপ্টেন মুমিনুল ফিরে গেলেন তখন বাংলাদেশের রান ১৩৪। এর পরে মাঠে নামেন রিয়াদ মুমিনুলের সাথে ২৩ রানের পার্টনারশিপ করা লিটন দাসকে নিয়ে রিয়াদ গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। ২৫৬ বলে গড়া এই জুটিতে লিটন একাই করেন ৮৬ রান আর রিয়াদের অবদান ৪৭।
ব্যক্তিগত ৯৫ রানে আউট হয়ে লিটন মিস করেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করার সুযোগ কিন্তু হারমানেননি রিয়াদ। ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬ তম হাফ সেঞ্চুরি। তাসকিন কে সাথে নিয়ে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন তিনি।
ইনিংসের শুরুতে টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটার অল্প রানে অলআউট হওয়ার যে লজ্জার আভাস দিয়েছিলো সেটাকে ফিকে বানিয়ে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান তুলে কিছুটা হলেও নতুন আশার আলো ছড়াতে পেড়েছে রিয়াদ,লিটন ও মুমিনুলরা। এখন দেখার বিষয় হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে কেমন করে বাংলাদেশ।