২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস আজ

Advertisement

আজ ১৫ জুন, ‘বিশ্ব প্রবীণ নির্যাতন সচেতনতা দিবস’। প্রতি বছর আজকের এই দিনে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হচ্ছে, বয়স্কদের উপরে নির্যাতন এবং তাদের যন্ত্রণা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। প্রবীণদের উপর অত্যাচার অবহেলা সম্পর্কে সব বয়সী মানুষকে সচেতন করে তোলাই দিবসের লক্ষ্য। 

উন্নয়নশীল এবং উন্নত সব দেশেই কম বেশী প্রবীণদের নির্যাতন করা হয়ে থাকে। যদিও প্রবীণ নির্যাতনের বিষয়গুলো খুব কমই সামনে আসে। তাদের উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক অথবা অর্থনৈতিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ৬ জন বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে ১ জন প্রবীণ নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। সেই অনুসারে প্রায় ১৪১ মিলিয়ন প্রবীণ সারা বিশ্বে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। কোন কোন হিসেবে এর পরিমান আরো অনেক বেশী। কারণ অধিকাংশ প্রবীণ নির্যাতন নথিভুক্ত হয় না।

বর্তমানে সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে প্রবীণদের প্রতি নিগ্রহ অবহেলা এবং নির্যাতনের সংখ্যা আরো অনেক গুনে বেড়ে যাচ্ছে। এই সিচুয়েশনে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে তাদের কে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, বরং আমরা জানি এই সময়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠী  বেশী সমস্যায় ভুগছেন।

আমাদের সমাজেও প্রবীণদের প্রতি নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। সন্তান এবং আত্বীয়দের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তারা শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। আহত নিহতের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে, বাসা থেকে বের করে দেওয়া, আঘাত করা, গাল মন্দ করা, খেতে না দেওয়াসহ অসংখ্য ধরনের নির্যাতন হচ্ছে বাংলাদেশে। এছাড়াও আমাদের প্রবীণরা অর্থনৈতিক নিগ্রহের স্বীকার হচ্ছেন। তাদের জমানো টাকা-সম্পদ ছেলে মেয়েরা নিয়ে যাচ্ছে, পরে আর তাদের খোঁজ নিচ্ছেন না এবং তারা  অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

প্রতিনিয়ত প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে নির্যাতন ও বাড়ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৫ ভাগের ১ ভাগ থাকবে প্রবীণ। তাই সব বয়সী মানুষদের সচেতন করা না গেলে প্রবীণ নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement