১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

বৃষ্টি আর বিধিনিষেধে ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা

Advertisement

আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আর বিধিনিষেধে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। প্রধান সড়কগুলোয় কোনো গণপরিবহন চলতে দেখা না গেলেও রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যেমন, গুলশান, নাবিস্কো, বাড্ডা, তেজগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী এলাকার রাস্তায় প্রাইভেট কার, রিকশা, খাদ্যসামগ্রী বহনকারী যান, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। কঠোরতম বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। বিধিনিষেধের প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ যানবাহন কিছুটা বেশি।

রাস্তায় যাঁরা বের হয়েছেন, পুলিশকে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যথাযথ কারণ জানতে চেয়েছেন। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। অনেকে আবার যথাযথ কারণ দেখিয়ে ছাড় পেয়েছেন। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন সরকার। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই দিক থেকে কঠোরতম বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বিধিনিষেধ ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এই বিধিনিষেধ ‘সবচেয়ে কঠোরতম বিধিনিষেধ’ হবে বলে এর আগে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন ২৩ জুলাই শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং বিধিনিষেধের মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় সারা দেশে ৯৫ জনকে ৪৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিধিনিষেধের প্রথম দিনে সরকারি আদেশ অমান্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৪০৩ জনকে আটক করেছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অন্যদিকে ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি যানবাহনকে ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement