২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

ভারতে করোনায় মৃত্যু ৪ লাখ ছাড়াল

Advertisement

ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৮৫৩ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল চার লাখ ৩১২ জনে।

শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানায়। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৫১ জন। 

ভারতে টানা ২৫ দিন ধরে ৫ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

ভারতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেশ খানিকটা স্তিমিত হয়ে এলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ করে তুলতে পারে করোনার নতুন রূপ ‘ডেলটা প্লাস’।

গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ে। গত ৭ মে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। ২৩ জুন ছাড়ায় তিন কোটির মাইলফলক। গত ২৩ মে করোনায় মৃত্যু তিন লাখের মাইলফলক ছাড়ায়। আর ২ জুলাই মৃত্যু চার লাখের মাইলফলক ছাড়াল।

বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভারতের দখলে। গত ২২ এপ্রিলের আগপর্যন্ত এ রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে  ভারত ও ব্রাজিল। ব্রাজিলে শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার।

আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার ওপরে। এই সংখ্যা ৬ লাখ ২০ হাজার। ব্রাজিল দ্বিতীয়। দেশটিতে মারা গেছে ৫ লাখ ২০ হাজার। ভারত তৃতীয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে মাস কয়েক আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করে। এখন সংক্রমণ কমতে থাকায় বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতার সঙ্গে বিধিনিষেধ শিথিল করছে। একই সঙ্গে করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারেও রাজ্যগুলো প্রস্তুত হচ্ছে। 

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement