ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৯২ হাজার ৫৯৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং মারা গেছেন ২ হাজার ২১৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৮ জন।
আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক লাখ ৬২ হাজার ৬৬৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭৫ লাখ ৪ হাজার ১২৬ জন।
সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। গত ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ জন। ভারতে মোট শনাক্ত দুই কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯ জনের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ১২ লাখ ৩১ হাজার ৪১৬ জন।
পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৯ কোটির বেশি। সেখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে দুই লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি। এখানে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ৩৬ হাজার ৬১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সংক্রমণের জেরে মৃত্যুও হচ্ছে। দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ৭ জুন দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ২১ থেকে এই লক্ষ্যে সব রাজ্য সরকারকে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হবে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান দুই নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে ব্রাজিল।