২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

মগবাজারে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে

Advertisement

রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে রাসেল (৩৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল ও ঘটনাস্থলসহ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। 

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, রাসেলের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল। তাকে প্রথমে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার (৩০ জুন) তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার শরীরে কাটা-ছেড়ার ক্ষতও ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে কালু নামে একজন ও ঢাকা মেডিকেলে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

রাসেলের চাচা মানারুল হক জানান, তার বাবার নাম জসিম উদ্দিন। বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বনগাঁও গ্রামে। থাকতো মগবাজারে। এলাকার একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তো সে। করোনার কারণে দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই সে মগবাজারে বেঙ্গল মিটে সেলসম্যানের চাকরি নেয়।  

এর আগে ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে নূর নবী নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সকালে জাফর (৬১) নামে একজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে।

গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের কারণ ও সূত্রপাত কোথা থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভবনে অতি পুরোনো বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করা হচ্ছিল। ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনা থাকায় ভবনের ভেতরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। নিচতলার শরমা হাউস, বেঙ্গল মিট, গ্র্যান্ড কনফেকশনারি এবং দ্বিতীয় তলায় থাকা সিঙ্গারের অবহেলাও থাকতে পারে। তারা অননুমোদিত গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করছিল বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ এবং সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খননের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্তযোগ্য। এজাহারে এসব সন্দেহের বিষয় উল্লেখ করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কাউকে আসামি করা হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement