২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন বাবা, ৪ দিন পর দাফন হলো সানজিদার

Advertisement

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া সানজিদার (২০) মরদেহ চার দিন লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাখার পর দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাইচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে কাইচাইল সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে মালয়েশিয়া থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন নিহত সানজিদার বাবা সাইদ সেখ। বাড়িতে ফেরার পর থেকেই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। জানাজার আগেও তিনি কয়েকবার মূর্ছা গেছেন বলে জানান নিহত সানজিদার খালা সুমাইয়া ।

গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে স্বামীর সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমালেও সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে সানজিদার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। মেয়ের এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা। যে মেয়ে স্বামীর সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল এক বিছানায় সে লাশ হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলল কীভাবে তা নিয়ে এখনো চলছে জল্পনা কল্পনা।

নিহত সানজিদার প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন জানান, চার দিন ধরে কাইচাইল চৌকিদারপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফ্রিজিং গাড়িতে সানজিদার মরদেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল। সানজিদার বাবা মালয়েশিয়া থেকে ফেরার অপেক্ষায় মরদেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে সানজিদার বাবা গতকাল বুধবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরলে তাকে আজ সকালে দাফন করা হয়েছে।

নিহত সানজিদার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৭ মাস আগে একই গ্রামের শাহজাহান বেপারীর ছেলে সাহারিয়ার রাতুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয় সানজিদার। গত রোববার রাতে স্বামী রাতুলের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন সানজিদা। পরে সোমবার সকালে সানজিদাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বামী সাহারিয়ার রাতুল ও তার মা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহ নামিয়ে খাটের ওপর রেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে নিহত সানজিদার মরদেহ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ফ্রিজিং গাড়ি আনা হয়। সানজিদার বাড়ির প্রায় ৫০০ গজ দূরে কাইচাইল চৌকিদারপাড়া জামে মসজিদের সামনে রাস্তায় গাড়ি রেখে তার ভেতরে সানজিদার মরদেহ রেখে সেখানে পাহারা দেয় তার পরিবার।

নিহত সানজিদার মা সাহিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ওই ছেলেকে পছন্দ করায় আমি পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়েকে গত কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিয়ে দেই। আমার মেয়ে কীভাবে মারা গেছে আমি জানি না।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের বুঝিয়ে দিয়েছি। নিহতের বাবা মালয়েশিয়া থেকে আসার অপেক্ষায় মরদেহ ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি। এখনও দাফন সম্পন্ন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement