রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে ই-টিকেটিং। গতকাল বুধবার সরেজমিনে সামান্য কিছু বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু থাকতে দেখা যায়। বেশির ভাগ বাসেই টিকিট ছাড়া ভাড়া কাটা হয়। যাত্রীরা বলছেন, চালক-সহকারীরা টিকিট নিয়ে নয়ছয় করছেন। আদায় করছেন বাড়তি ভাড়া।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট ছাড়াই ভাড়া আদায় করছেন ‘স্বপ্ন’ পরিবহনের চালক-সহযোগীরা। এ ছাড়া সাভারমুখী বাসগুলোতেও ই-টিকেটিং সার্ভিস চালু হয়নি। সাভার থেকে মৌমিতা পরিবহনে আসছিলেন ইমরান হোসেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই রোডে কোনো দিনই ই-টিকিটের ব্যবস্থা দেখিনি। ঢাকার মধ্যে যা দেখেছি, বেশির ভাগেই সমস্যা। কখনো বলে মেশিন নষ্ট, কখনো আবার টিকিট নেই।’ স্বপ্ন পরিবহনের চালক-সহযোগী নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, বাসটি মোহাম্মদপুর রুটে নতুন এসেছে। এ কারণে ই-টিকেটিংয়ে যুক্ত হতে একটু সময় লাগবে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এখনো ওয়েবিলে (টিকিট ছাড়া) বেশির ভাগ পরিবহন ভাড়া আদায় করে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া আদায় না করে স্টেশন অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার কারণে তারা বাড়তি টাকা আদায়ের সুযোগ পায়। বেশির ভাগ যাত্রী, বিশেষ করে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের থেকে টিকিট ছাড়াই ভাড়া আদায় করা হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে সেই ভাড়ার পরিমাণ। ই-টিকেটিং মেশিন থাকা সত্ত্বেও টিকিট দেওয়া ছাড়াই ভাড়া কাটেন বাসের হেল্পাররা। যদি কোনো যাত্রী টিকিট চায়, তবেই সে টিকিট পায়। অনেক সময় টিকিট চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘অছিম’ পরিবহনে ই-টিকেটিং মেশিন আছে। তবে টিকিট ছাড়াই ভাড়া আদায় করছেন চালক-সহকারী। মিরপুর-১ থেকে ওঠার পর মিরপুর-১০-এ আসতেই ভাড়ার নেওয়া শুরু হয়। এ সময় যেসব যাত্রী টিকিট চেয়েছে, শুধু তাদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে টিকিট না দেওয়ার বিষয়ে অছিম বাসের চালকের সহকারী মাহবুব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেশিনে স্বল্পপরিমাণ কাগজ থাকে। সন্ধ্যার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়। কিছু যাত্রী টিকিট না থাকলে ভাড়া দিতে চায় না, তাদের জন্যই টিকিট সংরক্ষণ করি।’