হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যের সংখ্যা। তাই পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক কাল (শুক্রবার) ভোর থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর বিধি নিষেধ। ২৩ জুলাই থেকে এই বিধি নিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট ভোর ৬টা পর্যন্ত। এজন্য বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবে না সাধারণ মানুষ। যদি কাউকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে পাওয়া যায় তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউ প্রসঙ্গে কিছু তথ্য:
১) এই লকডাউনে সকল সরকারি-বেসরকারী, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সকল বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
২) ৫ অগস্ট পর্যন্ত সড়ক পথ, রেল পথ, নৌ-পথে গণপরিবহন সহ অভ্যান্তরীন বিমান চলাচল থেকে শুরু করে সব বন্ধ থাকবে।
৩) মার্কেট, শপিংমল সহ সব ধরনের দোকান পাট বন্ধ থাকবে।
৪) রিসোর্ট, বিনোদন কেন্দ্র পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে।
৫) বন্ধ থাকে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা।
৬) জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে হবে। বিবাহের আয়োজন, জন্মদিনের পার্টি, পিকনিক,রাজনৈতীক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৭) আদালগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৮) ব্যাংক-বিমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৯) সরকারি কর্মচারীরা যার যার কর্মস্থলে অবস্থান করে ভার্চুয়ালি দফতরিক কাজগুলো সম্পাদন করবেন।
১০) আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সাথে কথা বলে প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র দেখিয়ে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হচ্ছেন: যেমন: কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রি, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা।
১১) জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খোলা থাকবে কি থাকবে না তা সিদ্ধান্ত নেবে অর্থ বিভাগ ।
১২) ট্রাক, লরি/কাভার্ডভ্যান/নৌ-যান/পণ্যবাহী রেল/ফেরি জরুরী পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
১৩) বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
১৪) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানপাট।
১৫) ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি অতিবপ্রয়োজনীয় কাজ ব্যতিত কোন বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
১৬) টিকা দিতে যাবার সময় টিকা কার্ড দেখিয়ে যাতায়েত করা যাবে।
১৭) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনলাইনে বিক্রি করতে পারবে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলো।
১৮) যারা বিদেশ ভ্রমনে যাবেন তারা দিবেশগামী টিকেট প্রদর্শন করে এয়ারপোর্টে যেতে পারবেন।
১৯) মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
২০) ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের বিধান মোতাবেক মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়ন করবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এসব সেনা সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।