২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

শুরু হয়ে গেল অবৈধ মোবাইল ফোনসেট শনাক্ত

Advertisement

আজ থেকে অবৈধ মোবাইল শনাক্তের কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর পর পর্যায়ক্রমে এসব মোবাইল সেট বন্ধ করা হবে। রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও অবৈধ মুঠোফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত গ্রাহকের হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়েছে।

জানা গেছে, অবৈধ মোবাইল শনাক্তে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার-এনইআইআর সিস্টেম ব্যবহার করছে বিটিআরসি। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিটিআরসি মুঠোফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে এনইআইআর নামের এ ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত নভেম্বরে চুক্তি করে। এনইআইআর ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্যভা-ারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মিলিয়ে দেখা হবে। অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল মুঠোফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না। প্রথম তিন মাস সংশোধন, বিচার ও ত্রুটি প্রক্রিয়ার জন্য এনইআইআর প্রযুক্তির ট্রায়াল দেওয়া হবে। পরে ব্যবহারকারীদের উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধান করে প্রক্রিয়াটি পুরোদমে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগে গ্রাহককে সেট বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি মোবাইল ফোনসেট রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

জানা গেছে, যখনই কোনো সিমকার্ড হ্যান্ডসেটে প্রবেশ করানো হবে, তখন এটি বিটিআরসি ডাটাবেসে একটি সংকেত পাঠাবে। হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেসের সঙ্গে মিললে তবেই সিমকার্ডটি চালু হবে। তবে এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেছে বিটিআরসি। এদিকে আজ বিটিআরসির পক্ষ থেকে এনইআইআর প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে কেউ এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে ডাটাবেস ব্যবহার করে আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলোর বৈধতা পরীক্ষা করতে পারবেন। এনইআইআর পদ্ধতি ১৫ দিনের অস্থায়ী সময়ের জন্য কাজ করবে এবং এর ট্রায়াল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যদি সক্রিয় সিমকার্ড মোবাইলে প্রবেশের পর বিটিআরসি ডাটাবেসে কোনো হ্যান্ডসেট না পাওয়া যায়, তা হলে বিটিআরসি ওই হ্যান্ডসেটের আইএমইআইকে ‘সাদা তালিকা’য় সাতদিন রেখে ব্যবহারকারীকে ফোনটি আমদানি বা কেনার আইনি নথি ব্যবহার করে নিবন্ধনের সময় দেবে। যদি কোনো ব্যবহারকারী তার হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করতে চান, তবে তাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধনভুক্ত করে নতুন ব্যবহারকারীর নামের অধীনে ডাটাবেসে পুনরায় নিবন্ধন করাতে হবে।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। এ কারণে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। সর্বশেষ এবার অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেছেন সেখানে বিদেশি ফিচার ফোন আমদানির ওপর শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। এতে অবৈধভাবে বাজারে আসা ফোনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement