সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২১ রানেই থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
দুপুরে, জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শূন্য রানের রেকর্ড গড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শূন্য রান করে আউট হওয়ার রেকর্ড ছিলো মাশরাফির, ৩৩ বার। আজকের ম্যাচে তামিম ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নেন। অন্যদিকে হাতাশায় ডোবে গোটা জাতি।
সাকিব ক্রিজে এসে কিছুটা সুবা ছড়াচ্ছিল ঠিকই কিন্তু থিতু হতে পারেননি। মাত্র ১৯ রানে তাকেও ফিরতে হয় ড্রেসিং রুমে। এর পরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক প্রান্তে লিটন দাড়িয়ে থাকলেও একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিথুন ও মোসাদ্দেক। মিথুনও ১৯ রানে ফেরেন সাকিবের মত আর মোসাদ্দেক মাঠ ছাড়েন ৫ রানে।
৫ উইকেটে ১৬৭ রান নিয়ে যখন ধুকছিলো বাংলাদেশ তখনই ক্রিজে আসেন রিয়াদ। লিটনকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন ৯৩ রানের জুটি। লিটন কুমার প্রথম পঞ্চাশ করতে একটু বেশি বল নিলেও, দ্বিতীয় পঞ্চাশ করতে নিয়েছেন মাত্র ৩৭ বল। ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকিয়েই ব্যাক্তিগত ১০২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার আগে, রিয়াদ আউট হয়েছেন ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে। তরুণ তুর্কি আফিফকে সাথে নিয়ে লিটন গড়েন আরও ৪০ রানের জুটি।
এর পরের গল্পটা মিরাজ আর অফিফের, লিটন কুমার সেঞ্চরি করে মাঠ ছাড়লেও আফিফ আর মিরাজ মিলে গড়ে তোলেন ৫৮ রানের জুটি আর ছোট ছোট এই পার্টনারশিপ গুলোর উপর ভর করেই লড়াই করার বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে টাইগারদের রান দাঁড়ায় ২৭৬। স্বাগতিকদের হয়ে একাই তিন উইকেট নেন লোকি জনগাও।
ব্যাট হাতে ব্যার্থ সাকিব আল হাসান তেতে ছিলেন বল হাতে বিশেষ কিছু করার। দিন শেষে এক সাকিবের ঝাঝেই উলটপালট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। ম্যাচের ১৫ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে টেইলরকে ফিরিয়ে ঝড় তোলেন সাকিব। এই উইকেট পাওয়ার সাথে সাথেই দেশের হয়ে সর্বোচ্চো উইকেট শিকারীর রেকর্ড মাশরাফির থেকে ছিনিয়ে নেন মিস্টার অলরাউন্ডার। দেশের হয়ে ওয়ানডে ফরমেটে ২৭০ উইকেট শিকার করে বনে যান দেশের সেরা বোলার।
এর পর একে একে জিম্বাবুয়ের বাকি পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের ঝুলিতে ভরেন পাঁচ উইকেট। আর দেশকে এনেদেন ১৫৫ রানের বিশাল এক জয়। এর আগে তাসকিন, সাইফউদ্দিন আর শরিফুল নেন দুটি করে উইকেট করে উইকেট।