ভাইয়ের প্রতি ভায়ের টান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বিকেএসপিতে একই সাথে বেড়ে উঠেছে মুশফিক-সাকিব। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও বিকেএসপির ক্যাডেটদের মধ্যে সম্পর্কটা সব সময়ই তার চেয়েও বেশি। গেল ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একই সাথে ক্রিকেট খেলছেন দেশের হয়ে। ছোট ভায়ের বিপদে সবসময়ই সাহস যোগান মুশফিক, এটা জানা আছে সবারই। সাকিবও জানেন, বিপদে মুশফিক ভায়ের পরামর্শই সবচেয়ে সেরা।
নিশেদ্ধজ্ঞা কাঁটিয়ে ফেরার পর কয়েকটি ম্যাচে রান করতে পারেনি সাকিব, আর তাতেই নিন্দুকদের মুখে ফুটেছে বুলি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটে রান না আসলেও বল হাতে একাই প্রতিপক্ষকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন সাকিব। তাতেও কথা থামেনি সমালোচকদের। দ্বিতীয় ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে যখন বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লো সাকিব, তখনই নিন্দুকদের বিরুদ্ধে চড়াও হলেন মশফিক।
নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে মুশফিক লিখলেন, আলহামদুলিল্লাহ, সিরিজটি আমরা জিতেছি সে জন্য অভিনন্দন জানাই ছেলেদের। মুশফিক আরও লেখেন, ফর্ম ক্ষণস্থায়ী কিন্তু ক্লাস চিরস্থায়ী। আমি কোনভাবেই বুঝতে পারি না যে, কয়েকটা ইনিংসে ব্যর্থ হলেই মানুষ কেনো সাকিবের পেছনে লাগে? সাকিব একজন লেজেন্ড এবং বাংলাদেশের জন্য সে সবসময়ই কিংবদন্তি হয়ে থাকবে। দুর্দান্ত খেলেছেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে টেস্ট খেললেও ওয়ানডেতে অংশ না নিয়েই মুশফিক দেশে ফিরে এসেছেন অসুস্থ বাবা মায়ের পাশে থাকতে। বর্তমানে তাদের অবস্থা বেশ ভালো বলে মুশফিক জানিয়েছে কে স্পোর্টসকে।