দেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদ ভারত সীমান্ত ঘেষা সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি এখন ঊর্ধ্বগতি। গত এক সপ্তাহে ৫০ শতাংশ থেকে কয়েক দফা লাফিয়ে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় তা পৌঁছেছে ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। এটিই একদিনে করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এ পর্যন্ত করেনা পজেটিভ রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। আর উপসর্গ নিয়ে ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৪৮০ জন করোনা পজেটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেডিকেল কলেজের স্থান সংকুলানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত একটি করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালর্টেন ডাঃ সুমন কুমার দাস জানান, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে ভারত সীমান্ত ঘেষা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপদ সাতক্ষীরায় ভোমরা স্থল বন্দরে অবাধে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার হেলপারদের চলা-ফেরা এবং গত ৫ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসা নাগরিকদের সাতক্ষীরায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং তাদের মধ্যে ১৭ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। একই সাথে ঈদের পরে মানুষের অবাধ চলা ফেরার কারনে সাতক্ষীরায় করোনার ভয়াবহতা বেড়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতক্ষীরায় জেলাকে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এছাড়া করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।
আজ বুধবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনাসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৬১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নগরের ৬৬ জন। নগরের বাইরের বিভিন্ন উপজেলার ৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তি নগরের বাসিন্দা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ৩৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন মোট ৬৩২ জন। তাদের মধ্যে ৪৫০ জন নগরে। বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ১৮২ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।