১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

দেশের সার্ফারদের পেটে ভাত নাই, তবুও হাল ছাড়েন নাই; ক্ষোভ আছে কিন্তু প্রকাশ করার জায়গা নেই

Advertisement

যেখানে যার থাকার কথা সেখানেই কি সে রয়েছেন? এদেশের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা ঘটছে অহরহই। স্পোর্টসের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে এদেশের বাকি সব খেলাই অবহেলিত। নিয়ম কানুনের বালাই নেই, ফেডারেশন বা এসোসিয়েশনের বড় পদ দখল করে রয়েছেন খেলাধুলার বাইরের মানুষেরা,  যাদের নুন্যতম কোন ধারনা নেই স্পোর্টস সম্পর্কে। এতে ক্রমশই বাড়ছে মাঠের খেলোয়াড়দের আক্ষেপ। কিন্তু সেই আক্ষেপ বা ক্ষোভ প্রকাশ জায়গা কোথায়? কে স্পোর্টসের কাছে মনের ক্ষোভ এভাবেই প্রকাশ করলেন সার্ফার রাশেদ আলম।  বললেন,  ভিক্ষা করে দেশের সার্ফিংকে এগিয়ে নেওয়ার চেস্ট করছি।

সার্ফার রাশেদ আলম বলছেন,  আমি ক্যালোফোনিয়ায় থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এনে এদেশের সার্ফিংটাকে প্রফেশাল স্পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোন রকমের সহযোগিতা পাচ্ছি না। বলতে পারেন এক প্রকার ভিক্ষা করেই কক্সবাজারে গড়ে তুলেছি সার্ফিং ক্লাব। চেষ্টা করছি স্থানীয় অবহেলিত বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েদের সার্ফিং প্রশিক্ষণ দেওয়ার। 

কয়েক বছর আগে দেশে গঠন করা হয়েছে সার্ফিং এসোসিয়েশন, তবে সেখানে যারা বসে আছে তাদের সার্ফিং সম্পর্কে নেই নূনতম জ্ঞান। কক্সবাজার থেকে কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও মেলে না কোন সাড়া। সার্ফিং ফেডারেশনের সদস্য ও ন্যাশনাল সার্ফার রাশেদ আলমের দাবি ঢাকায় নয় সার্ফিং এসোসিয়েশন স্থানান্তর করা হোক কক্সবাজারে।

তিনি কে-স্পোর্টসকে আক্ষেপের সুরেই বলেন, সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা হয়েছে ঢকায় কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখেন আমাদের ভেন্যু কোথায়! আমরা সার্ফাররা সবাই কক্সবাজারে অনুশীলন করি এখানে অ্যাসোসিয়েশন না হোক একটি সাব অফিসও তো থাকতে পারে নাকি? আমরা ইচ্ছা করলেই তো আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে সবসময় ঢাকায় যেতে পারি না। তিনি বলেন, আমার মনে হয় সার্ফিংয়ে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই অ্যাসোসিয়েশনের স্থানান্তর করা প্রয়োজন। সেই সাথে সেখানে এমন মানুষদের বসানো উচিত যারা সার্ফিং সম্পর্কে জানে এবং বোঝে।

বাংলাদেশের সার্ফার

এই করোনায় সার্ফারদের জীবন জীবিকা কেমন চলছে কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্র্যাকটিস সেই প্রশ্নে আগুন আগুন ঝরানো উত্তর দিলেন বাংলাদেশে সার্ফিংয়ের অন্যতম সার্ফার ও সংগঠক রাশেদ আলম।

তিনি বলেন, এই করোনায় অ্যাসোসিয়েশন থেকে আমাদের ক্লাব গুলোকে কিছুই দেওয়া হয়নি। এখানে যে অসহায়- অসচ্ছল পরিবারের ছেলে মেয়েরা সার্ফিং করছে তাদের পেটে ভাত না থাকলে কিভাবে সার্ফিং করবে? কিভাবেই বা দেশের পতাকা নিয়ে বিদেশের আকাশে উড়াবে? তবে স্থানীয় কিছু এনজিও আমাদের সার্ফারদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। প্রতিটি সার্ফারকে তারা মাসিক কিছু টাকা দিচ্ছে এই করোনার মধ্যে।

পেটে ভাত নাই তবুও সার্ফিং ছাড়ে নাই, লক্ষ্য যে একটাই দেশের পতাকা বিশ্বের আকাশে উচিয়ে ধরার। অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা নাই, তারপরও সবাইকে স্বপ্ন দেখায়, কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতাও চাই। কক্সবাজারের সার্ফারদের চাওয়া, যেখানে খেলোয়াড়দের বিচরন সেখানেই যেন আয়োজন করা হয় সার্ফিংয়ের সকল কার্যক্রম।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement