২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

সেতুর মাঝে গর্ত, ফাটল; হয়ে গেছে মরণ ফাঁদ

Advertisement

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বাকেরগঞ্জ টু বাউফল আঞ্চলিক সড়কের কবাই ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালঘুনি খালের উপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি  ইউনিয়নের সাথে সংযোগ একমাত্র সেতুটির মাঝ খানে পলেস্তারা খসে পরে রড বেরিয়ে যায় এক বছর আগে। 

স্থানীয় লোকজন চলাচলের জন্য প্রথমে সেতুর ভাঙন স্থানে কাঠের তৈরি মাচা করে দিলেও কিছুদিন পরেই সেতুটি দিয়ে বাকেরগঞ্জ বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় কাঠের মাচা খালে পরে গিয়ে বড় ধরনের ভাঙনের সৃষ্টি হয়। 

যানবাহন চলাচলা বন্ধ হয়ে গেলে সেতুটির ভাঙন স্থানে স্টিলের পাত সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে লাগিয়ে দেয় পরিবহন সমিতি ও স্থানীয়রা। ঢালাই অংশ সেতু থেকে ১০ ইঞ্চি উচু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি দিয়ে দাড়িয়াল, দুধল, দূর্গাপাশা, ফরিদপুর, চরামদ্দি, চরাদি, কবাই, নলুয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা বগা-বাউফলের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিনই চলাচল করেন।

বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে কোমলমতি শিশু ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। অনেকে আহত হয়েছে বলেও খবর শোনা গেছে। অথচ সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই তেমন উদ্যোগ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগেও সেতুর মাঝখানে পলেস্তারা খসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হওয়ার পর সেখানে স্টিলের পাত দিয়ে ঢালাই দেয়া উচু স্থানে রাতের আধারে মোটরসাইকেল চালক পরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সেতুটি দিয়ে বাকেরগঞ্জ বরিশালের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। 

এছাড়াও হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সেতুটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। সেতুটির নিরাপত্তা রেলিং ধসে পরেছে। সেতুটির পিলার খসে পড়ে এক দিকে কাত হয়ে পরেছে। বর্তমানে সেতুটি এমন ভগ্নদশায় যানবাহনের যাত্রীসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই ভাঙ্গাচোরা সেতুটি যে কোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত সেতুটি নির্মাণের  দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে কবাই ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদল তালুকদার বলেন, সেতুটি প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। কাজের মান হয়তো ভালো না হওয়ায় খুব কম সময়ে সেতুটির এই পরিস্থিতি হয়েছে। 

সেতুটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুর মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে।  দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নতুন করে নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

যাত্রীবাহী বাস চালক তরিকুল ইসলাম জানান, ডিসি রোড থেকে প্রতিদিন বাকেরগঞ্জ হয়ে বরিশাল যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। সেতুটির উপর দিয়ে চলতে গেলে আতঙ্কে থাকি কখন জানি ধসে পরে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি দেখেছি। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য আর ইউ আর এল প্রজেক্টে দেয়া হয়েছে। প্রচেষ্টা চালাচ্ছি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের জন্য।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement