২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

স্কুল খুললে ‌‌‘ম্যাসাকার’ হবে-অভিভাবক সংগঠনের আশঙ্কা

Advertisement

রাজধানী ঢাকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপালদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, আমরা কখনও স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের কোনো সমস্যার কথা বলতে পারি না। স্কুল কর্তৃপক্ষ কখনো আমাদের সঙ্গে কথা বলে না। প্রিন্সিপালও অভিভাবকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন না।

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।

ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুল খুলে দেওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের আশঙ্কা টিকা না দিয়ে স্কুল খুলে দিলে পরিস্থিতি ম্যাসাকার হবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়ার পর পাঁচ লাখ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা কী চায়, আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা এখান থেকে কী শিখবে? আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না শুধু বস্তা ভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা ছাড়া।

এদিকে বাংলাদেশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম দেড় বছর আগে তাদের কমিটি গঠন করে। তবে সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করেছে।

এই কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে স্কুলগুলো বন্ধ হলেও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে স্কুলগুলো অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। এতে তাদের অপারেটিং খরচ বহুলাংশে হ্রাস পায়। অন্যদিকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ল্যাপটপ–কম্পিউটার, ডাটা বা ওয়াইফাই, বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু স্কুলগুলো টিউশন ফি বা অন্যান্য ফি আদায়ে কোনো ছাড় দিচ্ছে না, বরং বকেয়া ফির কারণে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে এক্সেস না দিয়ে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে এবং পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রাখার মতো অমানবিক আচরণ করছে। যা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।

তাই যেসব স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ, আর যেসব স্কুল ভাড়া ক্যাম্পাসে তাদের অন্তত ৩০ শতাংশ টিউশন ফি কমাতে হবে। করোনাকালে বকেয়া টিউশন ফির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকেই শিক্ষা গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ফলাফল স্থগিত করা যাবে না। বকেয়া কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement