২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

শাহজালালে এবার দুর্ঘটনার শিকার বিমানের ড্রিমলাইনার

Advertisement

আবারো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সর্বাধুনিক একটি উড়োজাহাজ। এবার বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। 

জানা যায়, বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই উড়োজাহাজটি পুশব্যাক (পেছনে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া) করানো হয়। এতে বিমানটির দরজা ভেঙে গেছে।পাশাপাশি বোর্ডিং ব্রিজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিমানের টপ টু বটম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এখন চরম খামখেয়ালিপনা অবস্থা বিরাজ করছে। কেউ কারো কথা শুনছেন না। সব বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ে অনভিজ্ঞ ও নন-টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ায় পুরো বিমানজুড়ে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। নতুন নতুন উড়োজাহাজগুলো বারবার দুর্ঘটনার শিকার হলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ম্যানেজমেন্ট। দুর্নীতিবাজ ও শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে এনে পুরো বিমানকে আবারো দুনীতির আখড়ায় পরিণত করেছে বর্তমান ম্যানেজমেন্ট। ড্রিমলাইনারের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বিমানের।  

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে বিমানের ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে থেমে যাত্রী নামায়। আজ বিমানটির কোনো ফ্লাইট ছিল না। সাধারণত ফ্লাইট না থাকলে ড্রিমলাইনারটির দরজা বন্ধ করে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে সরিয়ে আলাদা করা হয় এবং সেটাকে পুশব্যাক করা হয়। ড্রিমলাইনারটিকে পার্কিং পজিশনে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানের দরজা বন্ধ না করে এবং বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই এটিকে পুশব্যাক করানো হয়। এতে উড়োজাহাজটির দরজার সঙ্গে বোর্ডিং ব্রিজের টান লেগে বোর্ডিং ব্রিজ ও বিমানের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement