মহামারি নিয়ন্ত্রণে করোনাভাইরাসের টিকার ১০০ কোটি ডোজ দরিদ্র দেশগুলোকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট-৭ এর নেতারা। জি-৭ সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে মানুষকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের কারবিস বেতে দুই বছর পর জি–৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি অংশ নেন।
সম্মেলন শেষে বরিস বলেন, ‘টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশগুলো যে জাতীয়তাবাদী ‘আচরণ’ করছিল, তা খারিজ করেছেন জি–৭ এর নেতারা।’ বিশ্বজুড়ে টিকা কর্মসূচি চালাতে জি-৭-এর দেশগুলো যে পরিমাণ ডোজ সরবরাহ করবে, এর মধ্য দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়টি প্রকাশ পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জি–৭ সম্মেলন প্রসঙ্গে বরিস জনসন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় স্বার্থপরতা, জাতীয়তাবাদী আচরণ থেকে বেরিয়ে আসব। এজন্য সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়েছিল। মহামারি মোকাবিলায় স্বার্থপরতা, জাতীয়তাবাদী আচরণ আমাদের ক্ষতি করেছে। যদিও পুরো বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়েছিল এ জন্য যে আমরা আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা, আমাদের অর্থ ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ব্যবহার করে এই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করব।’
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জি-৭ এর নেতারা দরিদ্র দেশগুলোকে যে পরিমাণ ডোজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা তারা নিজ থেকে ওই দেশগুলোর হাতে তুলে দেবেন, নয়তো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে দেবেন।’ যুক্তরাজ্য কোভ্যাক্সে ১০ কোটি টিকার ডোজ দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বরিস আরও বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব টিকা তৈরির চেষ্টা করছি এবং যত দ্রুত সম্ভব এ টিকা বিতরণ করছি। আমরা সরাসরি এ কাজ করছি।’
বলা হচ্ছে, ধনী দেশগুলো যে পরিমাণ টিকার ডোজ দিচ্ছে, তা দিয়ে দরিদ্র দেশগুলোর জনসংখ্যার বড় অংশকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে বরিস জনসন এ অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৫০ কোটি ডোজ বণ্টন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে এর ৫০ কোটি টিকা বণ্টন করা সম্ভব হয়েছে।