খেলাধুলা আর পড়াশোনা নাকি একসাথে হয় না। আমাদের দেশের বেশিরভাগ অভিভাবকের ধারনাই এমন। আবার অনেক ক্রীড়া প্রেমীরা মনে করেন যারা খেলাধুলা করেন তারা শিক্ষিত হন না বা হতেও পারেন না। পুরানো এসব ধ্যান ধারনাকে বিদায় জানিয়ে এযুগের খেলোয়াড়রা মাঠের খেলার পাশাপাশি নিজেদের বিদ্যা অর্জনের ক্ষেত্রেও বেশ সরব। তাই স্কুল-কলেজের গন্ডিপেড়িয়ে তারা ভর্তি হচ্ছেন বিভিন্ন সরকারী বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
পূর্বে শুধুমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেই খেলোয়াড়দের জন্য রাখা হতো খেলোয়াড়ি কোঠা বা তাদের পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়ার ব্যাবস্থ। কিন্তু এখন খেলোয়াড়দের পড়ালেখার সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছে দেশের বেশ কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের এমন সহযোগিতার কারণেই দেশের ক্রীড়াবিদরা খাতা কলম-হাতেও নিজেদের নিয়ে যেতে পারছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
সেই ধারাবাহিকতায় উচ্চশিক্ষার জন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন জাতীয় দলের পেস বোলার শরিফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কে স্পোর্টসকে জানায়, সামনের সেমিস্টারে বিবিয়ে ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছেন জাতীয় দলের পেস বোলার শরিফুল ইসলাম সহ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়।
তারা আরও জানান, এই ইউনিভার্সিটি থেকে এতিমধ্যেই পাস করেছে বিশ্বের এক নাম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলের ক্রিকেটার তানবির হায়দার খান ও রনি সহ আরও অনেকে। নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাথিরা জাকের জেসিও উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জাতীয় দলের শ্যুটাররাও পড়াশোনা এগিয়ে নিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। কে স্পোর্টসকে আরও জানানো হয়, সবকিছু ঠিক থাকলে এবছরেই সাকিব আল হাসানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনার্স পাসের সার্টিফিকেট তার হাতে তুলে দিবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।