২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল আজ

Advertisement

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তফসিল চূড়ান্ত করতে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিক বৈঠক আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিতব্য কমিশন সভা শেষে তফসিল ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রপতি পদে ভোটের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। তবে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যাঁকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং সে কারণে এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। 

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সিইসি। স্পিকারের সঙ্গে আধাঘণ্টার কিছু বেশি সময় বৈঠক করেন সিইসি। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুস সালাম ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সংসদের বৈঠক নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ আইনের ৫ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সিইসি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আইনের একটি বিধান আছে। তফসিল ঘোষণার আগে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে হবে। সেই সাক্ষাতের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। স্পিকারের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত্ হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ অচিরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি আরো বলেন, ‘বুধবার সকাল ১১টায় কমিশন সভা করে তফসিলটা উন্মুক্ত করব। তখন আপনারা সব জানতে পারবেন।’ বিএনপির সংসদ সদস্যদের ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসন শূন্য রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। ছয়টি আসন বা ১০০টি আসন কোনো বিষয় নয়। বর্তমানে যাঁরা জাতীয় সংসদ সদস্য তাঁদের পাঁচজন বিদেশেও থাকতে পারেন। সেটা নির্বাচনে কোনো হ্যাম্পার করবে না।’

নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে আলোচনায় যাঁরা : কে হচ্ছেন নতুন রাষ্ট্রপতি—এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁরা বেশি আলোচনায় রয়েছেন তাঁরা হলেন একজন সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা, দুজন রাজনীতিবিদ, তিনজন সাবেক বিচারপতি এবং একজন শিক্ষাবিদ। রাষ্ট্রপতি পদে এবার প্রথমবারের মতো একজন নারী নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও আলোচনায় রয়েছে।   

দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন আবদুল হামিদ। সংবিধান অনুযায়ী আবদুল হামিদের আবারও রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের ৫০(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘একাধিক্রমে হউক না হউক—দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।’ 

১৯৯১ সালে পরোক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাতবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একবার রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় সংসদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তত্কালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন  দেয়। আর ওই সময়ে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছিল বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে। ওই নির্বাচনে আবদুর রহমান বিশ্বাস বিজয়ী হন।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement