শক্তির বিচারে প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে পায়েস ডি ক্যাসল। গতরাতে কোপা ডি ফ্রান্সের শেষ ৩২-এর খেলায় মুখোমুখি হয় এই দুই দল। অনুমিতভাবেই জিতেছে পিএসজি। তবে প্রতিপক্ষকে নিয়ে এভাবে ছেলেখেলায় মেতে উঠবেন এমবাপ্পে-নেইমাররা, সেটা বোধহয় ভাবেনি কেউ। ফরাসি জায়ান্টরা জিতেছে ৭-০ গোলে। কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই করেছেন ৫ গোল।
বিশাল এই জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ ষোলোয় নাম লিখেছে পিএসজি। যেখানে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল মার্সেইয়ের।
বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা কিলিয়ান এমবাপে গতরাতে ১১ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত একা ৫ গোল করে তবেই থামলেন ফরাসি সেনসেশন।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর লেন্সের মাঠ স্টেডে বোলায়ের্ট ডেলেলিসে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টা কোনোমতে পিএসজির আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলো পায়েস ডি ক্যাসল। কিন্তু ২৯তম মিনিটে গোলের তালা খোলেন এমবাপ্পে। এরপর বালির বাধের মত ভেঙে যায় সব প্রতিরোধ।
নুনো মেন্ডেজের ক্রস থেকে পায়েস ডি ক্যাসলের জালে প্রথম বল জড়ান এমবাপ্পে। এরপর ৩৩তম মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এক মিনিট যেতে না যেতেই আবার গোল। ৩৪ মিনিটে করলেন নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করলেন এমবাপ্পে। ৪০ মিনিটে পূরণ করলেন হ্যাটট্রিক। মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরও একছেটিয়া খেলতে থাকে প্যারিসের দলটি। ৫৬ মিনিটে দলের ৫ম এবং নিজের চতুর্থ গোল করেন এমবাপ্পে। ৬৪ মিনিটে আবার গোল করে পিএসজি। এবার গোলদাতা কার্লোস সোলার। খেলার ৭৯তম মিনিটে পায়েস ডি ক্যাসলের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন এমবাপ্পে নিজেই।
প্রতিপক্ষের নাম পায়েস ডি ক্যাসল হওয়ার পরও কোচ ক্রিস্টোফে গ্যালতিয়ের বলেছিলেন, তিনি শক্তিশালী দলই মাঠে নামাবেন। সে কথাই রক্ষা করেছেন তিনি। শুধুমাত্র লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিলেন। নেইমার, এমবাপেদের নিয়ে সাজালেন তার সেরা একাদশ।