ইসরাইলের অধিকাংশ মানুষ ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ টিকা পেয়ে গেছেন। এমতাবস্থায় ফাইজারের দশ লাখের বেশি টিকার ডোজ বাকি রয়ে গেছে। যেগুলোর মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ের শেষে। পরে এসবের বিনিময়ে টিকা পেতে চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। ফলে শঙ্কা জেগেছে এই টিকাগুলো হয়তো তারা ফেলে দিতে পারে।
প্রথমে ইসরাইল এসব টিকা ফিলিস্তিনকে দিতে চেয়েছিল এবং বিনিময়ে ফিলিস্তিন কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের যেসব টিকা পাবে সেগুলো ইহুদি রাষ্ট্রটিকে দেবে। কিন্তু সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের শরণাপন্ন হয় ইসরাইল। তেল আবিবের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, এসব টিকা তারা ব্রিটেনকে দিয়ে দিবে এবং পরে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা ফেরত নেবে। অবশ্য যুক্তরাজ্য সরকার রাজি হয়নি।
ইসরাইলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, টিকা বিনিময়ের ব্যাপারে লন্ডন-তেল আবিবের মধ্যকার আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানান, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে চুক্তি আগায়নি।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, টিকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে এই চুক্তি ফলপ্রসূ হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ফাইজারের কাছে আবেদন জানিয়ে ইসরাইল টিকাগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল। কিন্তু মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি তা খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি বলে যে, ৩০ জুলাইয়ের পর টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।