২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসম্পন্ন তুলা উৎপাদন করে ব্রাজিল’ : জুলিও সিজার

Advertisement

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা মানুষের ৫ মৌলিক চাহিদা। প্রয়োজনের দিক দিয়ে অন্ন বা খাদ্য চাহিদার শীর্ষে থাকলেও, সভ্যতার দিক দিয়ে বস্ত্রই প্রথম। আর সেই চাহিদা পূরণে প্রধান উপাদান হলো তুলা। তুলা থেকে সুতা এবং তা দিয়ে তৈরি হয় বস্ত্রসহ অন্যান্য পরিধেয় সামগ্রী। বর্তমানে দেশের তুলা বাজারে জনপ্রিয় একটি নাম কটন ব্রাজিল। সম্প্রতি, ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কটন গ্রোওয়ার্স-এর (অ্যাবরাপা) চেয়ারম্যান জুলিও সিজার বুসাটো প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মানসম্পন্ন তুলা উৎপাদন করে ব্রাজিল’।

জুলিও সিজার বুসাটো বলেন, ‌‘বর্তমানে ব্রাজিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা রপ্তানি এবং চতুর্থ বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ। ব্রাজিলিয়ান রেফারেন্স সেন্টার ফর কটন টেস্টিং (সিবিআরএ) কর্তৃক চলমান ইন্ডাস্ট্রি-স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবরেটরি এইচভিআই টেস্ট মোতাবেক ব্রাজিলিয়ান কটন ফাইবার অত্যন্ত উচ্চ-মানের, যা দূষণমুক্ত ও খুব সহজেই চেনা যায়’।

উল্লেখ্য, পণ্যে কার্বনের উপস্থিতি কমাতে বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্প পুনর্ব্যবহৃত পোশাক ব্যবহারসহ উদ্ভাবনী কৌশল অবলম্বন করছে। আর এক্ষেত্রে ব্রাজিলের তুলা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব, যার ৮৫ শতাংশ বেটার কটন ইনিশিয়েটিভ (বিএসআই) এবং রেসপন্সিবল ব্রাজিলিয়ান কটন প্রোগ্রাম (এবিআর) কর্তৃক প্রত্যায়িত।

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম মাফিক আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী তুলার রপ্তানি চাহিদা মেটাতে ব্রাজিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সেরা কৃষি পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে বছরব্যাপী উচ্চ মানসম্পন্ন ফসলের ফলন এবং একাধিক ফলন নিশ্চিত করছে। উদাহরণস্বরূপ, এখানে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফসল কাটার পাশাপাশি কৃষি ড্রোন বা মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) ব্যবহার করে এলাকা জরিপ, রোগ-বালাই নিরীক্ষণ এবং কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক ও জৈবিক পণ্য প্রয়োগ করা হয়। যাতে করে উন্নত চাষ পদ্ধতিতে তৈরি ব্রাজিলের তুলা কেনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন’।

জুলিও সিজার বুসাটো জানান, ‘অন্যান্য দেশের মতো বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্রাজিলের তুলা জনপ্রিয়তা লাভ করছে। ব্রাজিলের তুলার তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক বাংলাদেশ। ২০২২ সালের মে পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৮৪,০০০ টন তুলা সরবরাহ করেছে ব্রাজিল। বাংলাদেশে ব্রাজিলের তুলা সরবরাহের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত পার্টনার ট্রেডিং কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রয় ও বিতরণ করা হয়। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে উক্ত ট্রেডিং কোম্পানিগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে’।

জুলিও সিজার বুসাটো বলেন, ‘অ্যাবরাপা ও রাষ্ট্রীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো তুলা চাষী, বিভিন্ন সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করছে এবং বর্তমান বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী ব্রাজিলের তুলার গুণমান উন্নত করতে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজে বিনিয়োগ করছে। অ্যাবরাপা জলবায়ু, মাটির উর্বরতা ইত্যাদি বিবেচনা করে ব্রাজিলের তুলা ক্ষেতগুলোয় টেকসই মান ও গুণমান নিশ্চিতের চেষ্টা করে’।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement