২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

অভিজ্ঞতার জোরেই ঘুরে দাঁড়ালেন জোকোভিচ

Advertisement

লন্ডনের আবহাওয়া এখন মনোরম। নেই খুব ঠাণ্ডা, নেই তেমন গরমও। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এই সপ্তাহে একটু গরম বাড়তে পারে। উষ্ণতা এই সপ্তাহে আরও বাড়ছে উইম্বলডনের লড়াইয়েও। শীর্ষবাছাইরা এগিয়ে যাচ্ছে দারুণভাবে।

মঙ্গলবার অবশ্য নোভাক জোকোভিচকে প্রবল লড়াই করতে হল সেমিফাইনালে উঠতে। ইতালির ২০ বছরের ইয়ানিক সিনার রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছিলেন প্রথম দুই সেট জিতে। অবশ্য অভিজ্ঞতার জোরে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসেন জোকোভিচই।

এর মধ্য দিয়ে উইম্বলডনে টানা ২৬ ম্যাচ জিতলেন জোকোভিচ। পাশাপাশি এখানে সেমিফাইনালে উঠলেন এই নিয়ে ১১ বার। অপর কোয়ার্টার ফাইনালেও পাঁচ সেট লড়াই চলল। শেষে বেলজিয়ামের দাভিদ গঁফাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেন ব্রিটেনের ক্যামেরন নরি।

প্রথম দুটো সেটে জোকোভিচ কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলছিলেন। সেই সুযোগে আগ্রাসী টেনিস শুরু করেন তার চেয়ে প্রায় ১৫ বছরের জুনিয়র সিনার। নিখুঁত খেলছিলেন তিনি। তার সার্ভিস, ফোরহ্যান্ডের হদিস পাচ্ছিলেন না ছ’বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছিল না তার। পাশাপাশি সিনার দারুণভাবে ব্যবহার করছিলেন ড্রপ শট। এই ম্যাচের আগে সিনার একবারই মুখোমুখি হয়েছিলেন জোকোভিচের। গত বছর মন্টে কার্লো মাস্টার্সে। সেখানে সহজেই জোকোভিচ স্ট্রেট সেটে সিনারকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু এখানে ছবিটা অন্যরকম হয়ে যায়। সিনারের প্রথম দু’সেটে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন তিনি।

চাপে পড়লেও জোকোভিচ কিন্তু তাড়হুড়ো করেননি। শান্ত ছিলেন। কারণ এর আগে ছয়বারও তিনি একই রকম পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন। গত বছর ফরাসি ওপেনের ফাইনালেও স্টেফানোস চিচিপাসের বিরুদ্ধে ও জিতেছিলেন দু’সেটে পিছিয়ে যাওয়ার পর।

তাই খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো জোকোভিচ পাল্টা জবাব দেন তৃতীয় সেটে। কৌশল বদলে আরও বেশি আগ্রাসী খেলতে শুরু করেন তিনি। কোর্টে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জোকোভিচ বলেন, টয়লেট ব্রেক নিয়ে ওই সময় আয়নার সামনে নিজেকে তাতাচ্ছিলাম। তাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র ফিরে পাই। আমার মনে হয় শুধু তাতেই নয়, অভিজ্ঞতাও এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

জোকোভিচ তৃতীয় সেটে শুরু থেকেই সিনারকে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করেন সার্ভিস রিটার্নে। বেসলাইনের পাশাপাশি নেটেও বেশি করে আসতে শুরু করেন তিনি। ড্রপ শটের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়ে সিনারকে ওর অস্ত্রেই ঘায়েল করে পয়েন্ট তুলতে থাকেন।

তৃতীয় সেটের চতুর্থ গেমে জোকোভিচ ভেঙে দেন সিনারের সার্ভ। তখন থেকেই শুরু। সিনারের ছন্দ ভেঙে যাওয়ার পরে দাপট ছিল শুধু জোকোভিচেরই।

চতুর্থ সেটের অষ্টম গেমে নেটের দিকে ছুটে আসতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান সিনার। গোড়ালি চেপে ধরে ব্যথায়। জোকোভিচ সঙ্গে সঙ্গে নেট টপকে তাকে সাহায্য করতে ছুটে যান। অনেকেরই এই সময় এবারের ফরাসি ওপেনে আলেকজান্ডার জেরেভের চোট পাওয়ার ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিল। ভাগ্য ভাল সিনারের সে রকম চোট লাগেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement