১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকার পণ্য রফতানি

Advertisement

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ কোটি টাকা মূল্যের হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলা ও ফলমূলসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি হচ্ছে।

 নিয়মিত চাল ও গম আসছে ভারত থেকে। ফলে করোনা মহামারির মাঝেও বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে চাঙাভাব বিরাজ করছে। এতে করে আগের তুলনায় বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ও বাড়ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর স্থলবন্দরটি দেশের অন্য স্থলবন্দরগুলোর তুলনায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুরই সংকট রয়েছে এ বন্দরে।

আখাউড়া স্থলবন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ আগস্ট স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বন্দরটি। আগে ১৯৯৪ সাল থেকে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানি হতো। তবে ভারত থেকে প্রসাধনী সামগ্রীসহ উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন পণ্য আমদানির অনুমতি না থাকায় বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে অনীহা ছিল ব্যবসায়ীদের। যদিও বছরে দুই-একবার শুঁটকি ও ফুলঝাড়ুসহ কিছু পণ্য আমদানি হতো ভারত থেকে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হয়েছে ৫০০ ট্রাক পণ্য। এর বিপরীতে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ১ ট্রাক পণ্য। আগস্ট মাসে ৮৬৫ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি এবং বিপরীতে আমদানি হয়েচে ৫৩৪ ট্রাক পণ্য। সেপ্টেম্বর মাসে ৯০১ ট্রাক পণ্য রফতানি এবং আমদানি হয়েছে ৭৩২ ট্রাক পণ্য।

অক্টোবর মাসে আমদানি হয়েছে ৬০১ ট্রাক পণ্য আর রফতানি হয়েছে ৮৩৬ ট্রাক পণ্য। নভেম্বর মাসে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৬৪৩ ট্রাক পণ্য এবং রফতানি হয়েছে ৯৭০ ট্রাক পণ্য। আমদানি করা পণ্যের মধ্যে ছিল শুঁটকি, চাল ও গম। আর রফতানি করা পণ্যের মধ্যে ছিল মাছ, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, কয়লা, তুলা ও ফলমূলসহ বিভিন্ন পণ্য।

আমদানি ও রফতানি পণ্যবোঝাই প্রত্যেক ট্রাক থেকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রবেশ ফি, ওজন চার্জ, অবস্থান চার্জ ও পণ্যাগার চার্জসহ বেশ কিছু চার্জ আদায় করে থাকে। এসব চার্জ বাবদ গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় ছিল ২৯ লাখ ৭১ হাজার ৫৪১ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় করেছে ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭২২ টাকা।

বর্তমানে স্থলবন্দরে অবস্থা

কয়েক কক্ষ বিশিষ্ট ছোট্ট অফিস, একটি সেমি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল (১০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা), একটি ওয়্যার হাউস (৮০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা), একটি ওপেন ইয়ার্ড ও একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড এবং শ্রমিকদের জন্য ছোট্ট একটি টয়লেট ও গোসলখানা রয়েছে।

স্থলবন্দরে যা দরকার

দুটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল, বিদ্যামান ওপেন ইয়ার্ড সম্প্রসারণ ও নতুন একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ এবং বন্দরের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন। পাশাপাশি বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডরমেটরি এবং শ্রমিকদের জন্য শেড ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ করা প্রয়োজন।

ভারতীয় ট্রাকচালক রাজ্জাক মিয়া জানান, পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে আসার পর বিভিন্ন কারণে কয়েক দিন সময় লাগে পণ্য খালাসে। কিন্তু স্থলবন্দরে শ্রমিকদের থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পণ্য খালাস না হলেও তাকে প্রতিদিন ভারতে ফিরে যেতে হয়। এছাড়া শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement