১ মে, ২০২৪, বুধবার

আম গাছে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে সহোদর শিশুর মৃত্যু

Advertisement

রাজধানীর ডেমরা বামৈল এলাকায় একটি বাড়ির আমগাছের চারপাশে সংযোগ দিয়ে রাখা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। ১২ এপ্রিল (বুধবার) দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- আরিয়ান মিয়া (৮) ও তার ছোট ভাই রায়হান মিয়া (২)। অচেতন অবস্থায় শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা পৌনে ৩টায় তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার বাজিতপুর গ্রামের মারফত মিয়ার সন্তান শিশু দুটি। পরিবারটি ডেমরা বামৈল মফিজ মিয়ার বাড়িতে থাকেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তারা ছিল ছোট। 

শিশুটির বাবা মারফত মিয়া জানান, সকালে তিনি অটোরিকশা চালাতে বের হন। শিশুদের মা এ্যানি বেগম বামৈল ব্যাংক কলোনী সাধুর মাঠ সংলগ্ন একটি ছাতার কারখানায় চাকরি করেন। সকালে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাজে যান তিনি। এরপর তিনি খবর পান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে শিশু দুটি। তখন তিনি ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে ঢামেক হাসপতালে নিয়ে যান।

ব্যাংক কলোনী সাধুর মাঠ সংলগ্ন একটি বাড়ির বাসিন্দা ইয়াসির আরাফাত জানান, তার বাসার জানালা দিয়ে দেখতে পান, পাশের একটি বাড়ির আমগাছের নিচে উপুর হয়ে পড়ে আছে শিশু দুটি। তখনই তার সন্দেহ হলে সেখানে গিয়ে দেখেন, অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে তারা। আম গাছটির নিচে বিদ্যুতের তার জড়ানো। তখন আশপাশের লোকজন ডেকে তিনি প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, আমগাছটির মালিকের নাম দিপু। গাছটি থেকে কেউ যাতে আম পেরে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তিনি গাছের নিচে চারপাশে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রেখেছিলেন। গতবছরও একই কাজ করেছিলেন। সেই তারে বিদ্যুৎ থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ডেমড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আম পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিস্তারিত জানার জন্য কাজ চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement