পৃথিবীর সূচনা থেকেই ধর্মীয়ভাবে নানান ঘটনাপ্রবাহের ঐতিহ্য বহন করে আসছে পবিত্র মহররম মাস। বিশেষত কারবালার ঘটনার পর থেকে মহররম মাস ইতিহাসের পাতায় আরও বেশি স্মরণীয় হয়ে আছে ।
১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন হজরত হোসাইন (রা.)। হিজরি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম তাৎপর্যমণ্ডিত একটি মাস। মুসলিম ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
ইসলাম ধর্মমতে আসমান-জমিন সৃষ্টিসহ পৃথিবীতে অনেক স্মরণীয় ও যুগান্তকারী ঘটনা মহররম মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হল-
১. আকাশ জমিন পাহাড়-পর্বত সব কিছু সৃষ্টি। ২. আদম (আ.)-এর সৃষ্টি । ৩. নূহ (আ.) মহাপ্লাবন শেষে জুদি পাহাড়ে অবতরণ। ৪. হজরত ইবরাহিম (আ.) নমরুদের প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তিলাভ।
৫. দীর্ঘ ১৮ বছর রোগ ভোগের পর হজরত আইয়ুব (আ.)-এর দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ। ৬. হজরত সুলাইমান (আ.)কে পৃথিবীর রাজত্ব দান। ৭. হজরত ইউনুস (আ.)কে ৪০ দিন পর দজলা নদীতে মাছের পেট থেকে উদ্ধার। ৮. হজরত মূসা (আ.) ফেরাউনের কবল থেকে রক্ষা। ৯. হজরত ঈসা (আ.)-এর পৃথিবীতে আগমন এবং জীবতাবস্থায় আসমানে উত্তোলন। ১০. হজরত ইদ্রিস (আ.)কে আসমানে উত্তোলন।
১১. হজরত দাউদ (আ.)কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত। ১২. খায়বার যুদ্ধের বিজয় অর্জন। ১৩. মাদায়েন এবং কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয় অর্জন। ১৪. হজরত আদম (আ.)-এর জান্নাতে প্রবেশ। ১৫. হজরত আদম (আ.)কে জান্নাত থেকে দুনিয়ায় প্রেরণ এবং গুনাহ মার্জনার পর তার সঙ্গে হাওয়া (আ.)-এর পুনঃসাক্ষাৎ লাভ।
১৬. হজরত নূহ (আ.)কে তুফান ও প্লাবন থেকে পরিত্রাণ প্রদান। ১৭. হজরত সোলায়মান (আ.)কে হারানো বাদশাহি ফিরিয়ে দেওয়া। ১৮. হজরত ইয়াকুব (আ.) কর্তৃক হারানো পুত্র হজরত ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ।
১৯. প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা শরিফ থেকে হিজরত করে মদিনা শরিফে আগমন। ২০. হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার ৭৭ ঘনিষ্ঠজন স্বৈরশাসক ইয়াজিদের সৈন্য কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১/১৩২)।
