২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

 সিলেটে বন্যা : আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন মানুষ

Advertisement

সিলেট জেলায় পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে ফসলি জমি, বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ফলে প্লাবিত এলাকার মানুষজন ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে।

১৭ মে মঙ্গলবার সুরমা নদীর পানি উপচে নগরীতে প্রবেশ করায় বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বাসাবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনেক অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবেশ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

এদিকে আশ্রয়কেন্দ্র খেলার খবরে ভিড় করছে পানিবন্দি মানুষ। পরিবার-পরিজন ও মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা-পয়সা নিয়ে তারা হাজির হচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।

নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের মিরাবাজার কিশোরীমোহন বালক উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে রহিমা বেগম নামে একজন বেলন, এখানে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছি ঠিকই কিন্তু মন পড়ে আছে আমার সেই ছোট্ট ঘরে। যদি ঘরে হাঁটুসমান পানিও থাকত, তাহলে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতাম না।

এ পরিস্থিতিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে আপাতত এই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আশ্রয় নেওয়া এসব মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

সিলেট নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- শাহজালাল উপশহর, মাছিমপুর, লালাদিঘির পাড়, কলাপাড়া, লামাপাড়া, ঘাসিটুলা, যতরপুর, সোবহানিঘাট, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুর, পাঠানটুলা, লন্ডনি রোড, মেজরটিলা, মোল্লাপাড়া, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড, মোমিনখলা। আকস্মিক বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ অবস্থায় তাদের জন্য এগিয়ে আসে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। পানিবন্দি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশেনের সাত ওয়ার্ডে খোলা হয় ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement