২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

বিশ্বমানের বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত দেশের ইপিজেডগুলো

Advertisement

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, গত এক যুগে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোর। এখনই বাংলাদেশের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে হবে। বর্তমানে দেশের ইপিজেডগুলো বিশ্বমানের বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। 

ইন্টারন্যাশন্যাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ কে সামনে রেখে আয়োজিত সামিট ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্রেস মিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রেস মিটে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিনিয়োগ বিকাশের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশ্বমানের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছি, যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে অপার সম্ভাবনাময় লাভজনক বিনিয়োগের দেশ।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে যৌথ ও বিদেশি বিনিয়োগ অনেকাংশে বাড়বে। ফলে একইসঙ্গে দেশি বিনিয়োগকারীরাও লাভবান হবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা বিডা। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ আয়োজন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের এ দ্রুতবর্ধনশীল ও স্থিতিশীল অর্থনীতিতে অফুরন্ত বিনিয়োগের সুযোগ প্রদর্শিত করতেই সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামিটটি শারীরিক ও ভার্চুয়াল দুই মাধ্যমেই অনুষ্ঠিত হবে, যা কার্যকর জনসংযোগ, মতবিনিময় এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে উচ্চ বিকাশমান খাতগুলোতে বিনিয়োগ আকর্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, সামিটে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা, দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক মিশন, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, বিদেশি এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

সামিটে প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ পরিবেশ শীর্ষক একটি প্লেনারি অধিবেশন আয়োজন করা হবে। অধিবেশনে ১২টি খাতভিত্তিক কারিগরি বিষয় নিয়ে আলোচন করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, তৈরি পোশাক শিল্প, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন শিল্প, কৃষি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ঔষধ শিল্প ও স্বাস্থ্য, পরিবহন ও লজিস্টিকস, বিদ্যুৎ/জ্বালানি/অবকাঠামো খাত, পুঁজিবাজার, আর্থিক খাত এবং ব্লু-ইকোনমি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে দেওয়া হবে এ সামিটের মাধ্যমে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement