১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

ঠিকাদারের বিরুদ্ধে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

Advertisement

পাবনায় গণপূর্ত অফিসে ঠিকাদারদের অস্ত্রের মহড়ার তিন মাস পর এবার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পাবনা সদর থানায় ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে পাবনা গণপূর্ত ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গণপূর্ত অফিস সুত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার নূর কনস্ট্রাকশনের মালিক মোখলেসুর রহমান নয়ন (৪৫) নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের কক্ষে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের সাথে ঠিকাদারী কাজ নিয়ে কথা বলতে আসেন। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী তার কক্ষে ছিলেন না। আব্দুস সাত্তার ঠিকাদার নয়নকে নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে কাজ শেষ করার তাগিদ দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদার প্রকৌশলীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন। আব্দুস সাত্তারের চিৎকারে অফিসের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে করতে ঠিকাদার নয়ন অফিস থেকে বের হয়ে যান। বিষয়টি সারাদিন মীমাংসার চেষ্টা চলে এবং মীমাংসা না হওয়ায় গণমাধ্যমসহ সব মহলে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঠিকাদার নয়নের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার। প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের অভিযোগ, নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে ঠিকাদার নয়নকে তার অসমাপ্ত কিছু কাজ সঠিকভাবে শেষ করতে বলি। এসময় হঠাৎ তিনি (নয়ন) উত্তেজিত হয়ে গালাগাল শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি মারপিট শুরু করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়ি। নিজ অফিসে এমন অপমানিত হবো কখনো কল্পনাও করিনি।

অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম  বলেন, আমরা অভিযোগের আলোকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, এর আগেও ঠিকাদাররা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গেছে। এগুলো বন্ধ হওয়া জরুরি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোখলেসুর আলম নয়নের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চলতি বছরের ৬ জুন ঠিকাদারি কাজের অজুহাতে আওয়ামীলীগ নেতা এ আর খান মামুন ও যুবলীগ নেতা শেখ লালু তাদের বাহিনী নিয়ে অস্ত্রের মহড়া দেয়। তিন মাসের মাথায় আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement