২৯ এপ্রিল, ২০২৪, সোমবার

একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে ২০ জন যমজ ভাইবোন

Advertisement

একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে ২০ জন যমজ ভাইবোন। তারা একসাথে স্কুলে যাওয়া-আসা করে, খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়াও করে একসাথে। আশেপাশের সবাই তাদের মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক হাইস্কুলে একসাথে এত যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে। আকৃষ্ট করেছে সবাইকে।

মথুরাপুর পাবলিক হাইস্কুল ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শ্রেণিতে যমজ ভাই-বোনরা পড়াশুনা করছে। স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা-চঞ্চল রাহা।

যমজ ভাইবোনদের চেহারায় মিল থাকায় স্কুলের শিক্ষকরাও মাঝেমধ্যে দ্বিধায় পড়ে যান। খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের নিয়ে বেশ উপভোগও করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দু’জন একসাথে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গে দেখছেন যমজ ভাই-বোনরা।

ষষ্ঠ শ্রেণীর যমজ দুই ভাই সান ও মুন জানায়, আমরা দুই ভাই একসাথে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা-যাওয়া। আমাদের দু’জনের পছন্দ মাংস-ভাত। শুধু দু’জনের দুই রঙ পছন্দ। একজনের লাল আরেকজনের নীল।

তারা আরো জানায়, আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না, আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এক রকম। এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না, কে সান আর কে মুন, তখন আমাদের হাসি পায়। আমরা খুব মজা পাই। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসাথে। বাড়িতে একসঙ্গে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সবাই আমাদের নিয়ে খুশি।

সপ্তম শ্রেণীর যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া জানায়, আমাদের সব কাজ আমরা একসঙ্গে করি। আমাদের দু’জনের প্রিয় রঙ নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসঙ্গে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করি। ক্লাসে স্যার একজনকে বকা দিলে অন্যজনের খুব খারাপ লাগে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না।

নবম শ্রেণীর যমজ দুই বোন হাসি ও খুশির জানায়, আমাদের একটা বড় সুবিধা হলো কেউ কোনো ভুল করলে আরেকজনকে চাপিয়ে দেয়া যায়, পরে আবার আমরা একসঙ্গে মিলে যাই। আর পরিবারের কাছে, আত্মীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই। আমরা পুরো সময় একসঙ্গে কাটাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি।

মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের স্কুলে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়ে। আমরা তাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। ক্লাসে তাদের প্রত্যেকের মেধাক্রম কাছাকাছি। আমাদের স্কুলের জন্যও এটা গর্বের যে তারা আমাদের স্কুলে পড়ছে। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান যমজ ছা-ছাত্রীদের প্রশংসা করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমজ ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে দেখাশোনা ও লেখাপড়ার সকল সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement