২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

সত্যিকারের ড্রাগন এখনো ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীতে

Advertisement

ড্রাগন বলতে পৌরাণিক এক বিশেষ প্রাণী সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এটি এমন এক প্রাণী, যে দেখতে বৃহদাকার গিরগিটির মতো! ক্ষেপে গেলে মুখ দিয়ে বের হয় আগুন; চোখ লাল হয়ে যায়। যে প্রাণীটি সহজেই উড়ে মিলিয়ে যায় আকাশের কোনো প্রান্তে!

শিশুতোষ এনিমেশন মুভিতে ড্রাগন বেশ জনপ্রিয়। হাউ টু ট্রেইন ইওর ড্রাগন সিক্যুয়াল তো সব শিশু-কিশোর এমনকি বড়দেরও প্রিয়।

কল্পনায় না হয় থাকলো- কিন্তু বাস্তবে কি ড্রাগনের কোনো অস্তিত্ব আছে? খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ইন্দোনেশিয়ার কমোডো দ্বীপে এ ধরনের একটি বিশেষ প্রাণী রয়েছে, দেখতে তারা অনেকটা পৌরাণিক সেই ড্রাগনের মতোই। এ কারণে হয়তো প্রাণী বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘কমোডো ড্রাগন’।

ইন্দোনেশিয়া ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না এদের। দেশটির কমোডো দ্বীপ ছাড়াও প্রতিবেশি রিনকা, গিলি মটাঙ, নুসা কুড়ে ও পদার দ্বীপেও কিছু সংখ্যক ড্রাগনের দেখা মেলে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কমোডো দ্বীপে ১ হাজার ৭২১টি ড্রাগন রয়েছে।কমোডো ড্রাগন

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এ কমোডো ড্রাগন। কারণ, বিশ্বের আর কোথাও এদের অস্তিত্ব নেই। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ওই দ্বীপগুলোতেও তারা নানা সংকটের মধ্যে রয়েছে।

কমোডো ড্রাগন তিন মিটারের বেশি লম্বা হয় এবং এদের ওজন হয় ৭০ কেজিরও বেশি। ভারি শরীর নিয়ে এরা হাঁটে বেশ কষ্ট করেই। তবুও ঘণ্টায় এরা ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। কমোডো ড্রাগন ডিম দেয় এবং বাচ্চা ফুটায়। এরা ৮ থেকে ৯ বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

এদের দেখতে আপাত নিরীহ মনে হলেও কখনো এরা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। এরা বড় একটি গরুকে হত্যা করে খেয়ে ফেলতে পারে। এটা তারা করে মুখের লালা দিয়ে।

যে কোনো প্রাণীকে কামড় দিয়ে এরা চলে যায়। বিশাক্ত লালা শরীরে পচন ধরালে ওই প্রাণী মারা যায়। তখন কমোডো ড্রাগনরা দলবেধে তাকে ভক্ষণ করে।

সূত্র: উইকিপিডিয়া।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement