২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

কাদম্বরীর মৃত্যু খবর চেপে যেতে সংবাদমাধ্যমকে ৫২ টাকা ‘ঘুষ’ দেয়া হয়!

Advertisement

ঠিক ১৩৮ আগে ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী। ইংরেজি তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল ১৮৮৪। ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে চুপ করাতে ঠাকুর পরিবার ৫২ টাকা ঘুষ দিয়েছিল। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ এবং তার নতুন বৌঠানের সম্পর্ক নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এ কথা অনস্বীকার্য যে কাদম্বরীর মৃত্যুর অভিঘাত রবির কবিমানসে দীর্ঘ রেখাপাত করেছিল। সংগত কারণেই এই মৃত্যু নিয়ে চর্চা হয়েছে বাংলার সাহিত্য, চলচ্চিত্রেও। সাহিত্যে, ছবিতে ফিরে ফিরে এসেছে এই মৃত্যু এবং রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।

জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সঙ্গে বিয়ের পর বালিকা বয়সে ঠাকুরবাড়িতে আসেন কাদম্বরী। নাট্যরচনা, অভিনয়, সংগীতচর্চা, ভারতী প্রকাশ— ইত্যাদির পাশাপাশি পাট-নীল ও জাহাজের ব্যবসা নিয়ে কাদম্বরীর স্বামী তখন খুব ব্যস্ত। স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ কাটিয়ে উঠেছিলেন দেবর রবির সঙ্গে সখ্য ও নৈকট্যের মধ্যে দিয়ে।

নিঃসন্তান কাদম্বরী বাড়ির তেতলার ছাদে বাগান করা, পশুপাখি পালন করায় নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। কিছুদিন স্বর্ণকুমারী দেবীর ছোট মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো মানুষ করেছেন। হঠাৎ করে সেই মেয়েটির মৃত্যুতে ফের নিঃসঙ্গ হন কাদম্বরী। এই সময় ঠাকুরবাড়িতে আপন বলতে কাদম্বরীর ছিলেন শুধু রবি।

শোনা যায়, ১৮৮৪-র ১৯ এপ্রিল কাদম্বরী অধিক মাত্রায় আফিম খান। ২১ এপ্রিল সকালে তিনি প্রয়াত হন। এও শোনা যায়, প্রথা অনুযায়ী কাদম্বরীর দেহ মর্গে পাঠানো হয়নি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেই বসানো হয়েছিল ‘করোনার্স কোর্ট’। গবেষকদের একাংশ মনে করেন, স্বয়ং মহর্ষির উদ্যোগেই রিপোর্ট গায়েব করা হয়। উধাও হয়ে যায় ‘সুইসাইড নোট’। এমনকি, ৫২ টাকা ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয় সংবাদমাধ্যমের। তাই কাদম্বরীর মৃত্যু সংবাদ তখন কোনও পত্রিকায় ছাপা হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement