১৫ মে, ২০২৪, বুধবার

কুমিল্লার তরুণী চট্টগ্রামে এসে ধর্ষণের শিকার : গ্রেপ্তার ৩

Advertisement

চট্টগ্রামে শনিবার ৭ মে দুপুর একটার দিকে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে মারধরের পরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরীর আকবর শাহ থানার মীর আউলিয়া শাহ মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন রোববার ৮ মে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার ৭ মে দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টার মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লার দেবিদ্বারের বাড়ি থেকে শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় আসেন ওই তরুণী। পরে ভিকটিম কুমিল্লা ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় যেতে পারেননি। এরপর রেললাইন দিয়ে  হেঁটে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকবর শাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকার মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পার্শ্বে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে থাকেন। তখন অপরিচিত এক যুবক এসে তরুণীকে তার বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাখবে এবং তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে। ওই যুবকের সঙ্গে আরও দুই জন সে সময় উপস্থিত ছিল। তারপর তিনজন মিলে ভিকটিমকে সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতরে নিয়া যায়। সেখানে ভিকটিমকে প্রথমে মারধর করে। পরে আসামিরা একাধিকবার পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ কর্মকর্তা জহির হোসেন বলেন, ভিকটিমের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে তিন আসামিকে শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার বিকেলেই জঙ্গল লতিফপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফকে (২৩), রাত সাড়ে সাতটার দিকে আকবরশাহ থানার পাকা রাস্তার এলাকা থেকে মো. নয়নকে (২৯) ও রাত নয়টা ৪০ মিনিটের দিকে বন্দর থানার নিমতলা এলাকা থেকে আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার কথা স্বীকার করে। এজাহার নামীয় আসামি মো. নয়ন ভিকটিমকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়া কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। এতে বাকি দুই আসামি সহযোগিতা করে। আসামিরা ভিকটিমকে মারধর করে। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement