১ মে, ২০২৪, বুধবার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

Advertisement

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের সদকী রায়পাড়া এলাকার স্বামী বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

ওই গৃহবধূর নাম মোছা. মৌসুমি খাতুন (২৯)। তিনি ওই এলাকার কাতার প্রবাসী মো. মাসুদ হোসেনের (৩২) স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।

তবে গৃহবধূর বাবা বাড়ির লোকদের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ স্বামী বাড়ির লোকজন মৌসুমি কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে।

মৌসুমির বাবা মো. ইউনুছ আলী বলেন, তাঁর মেয়ের সুখের জন্য তিনি ইতিপূর্বে কয়েকবার নগদ টাকা ও আসবাপত্র দিয়েছেন। তার জামাই বিদেশে যাওয়ার পর পুনরায় যৌতুকের টাকা দাবি করে। এনিয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। হঠাৎ ভোররাতে তিনি জানতে পারেন তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর দাবি, যৌতুকের টাকা না পেয়ে মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শ্বাশুড়ি জহুরা খাতুন বলেন, রাতে তাঁর ছেলে ও বউয়ের ঝগড়া হয়েছিল। সেজন্য তাঁর ছেলে বউ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাঁর ভাষ্য, মৌসুমিকে কেউ মারেনি। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই মৌসুম শ্বশুর, ভাসুর, ভাসুরের স্ত্রী ও ননদ পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি স্থানীয়রা আগেই নামিয়েছিল। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা পরে জানানো যাবে। তবে গৃহবধূর গলায় দাগ রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement