গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ। পাকিস্তানি লুটেরা বেইমানদের শোষণ, নির্যাতন আর বিশ্বাসঘাতকতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে এই দিনে আনন্দে উৎফুল্ল আর জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোবিন্দগঞ্জবাসী। গোবিন্দগঞ্জেও স্বাধীনতাকামী শত শত ছাত্র-জনতা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাটাখালী ব্রিজ ভাঙতে গিয়ে শহীদ হন মান্নান, বাবলু, বাবুসহ ৫ জন।
আদমদীঘি (বগুড়া) : আজ ১২ ডিসেম্বর। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ রেলওয়ে জংশন শহর অবাঙালি বিহারি অধ্যুষিত আদমদীঘি থানা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের মুহুর্মুহু গেরিলা আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী পালিয়ে যাওয়ায় ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আদমদীঘি থানা সদরকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন। এখান থেকে পাকিস্তানি হানাদাররা গোটা উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত।
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) :১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানা এলাকা মুক্ত হয়। ভাঙ্গার দক্ষিণে মাদারীপুর থেকে তাড়া খেয়ে পাকিস্তানি সেনারা ভাঙ্গার দিকে আসতে থাকে। এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা এ খবর জানতে পেরে ভাঙ্গার সীমান্তে ঢোকার মুখে দিগনগর ব্রিজের এপাড়ে ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গতিরোধ করে এবং যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পরাজিত এবং কমপক্ষে ৫ সেনা নিহত হয়। পরাজিত হয়ে পাকিস্তানি সেনারা ভাঙ্গা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ১২ ডিসেম্বর ভাঙ্গা ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে ফরিদপুরের দিকে চলে যায়। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধরা ভাঙ্গায় উড়িয়ে দেন বিজয়ের পতাকা এবং লোকজন রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।