১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

গার্লফ্রেন্ডকে নির্যাতনের পর মেরে ফেলে বয়ফ্রেন্ড

Advertisement

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে দশম শ্রেণির ছাত্রী জেসিকা হত্যার অভিযোগ উঠেছে বয়ফ্রেন্ড বিজয় ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বয়ফ্রেন্ডকে না পেয়ে বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে। 

৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ও মা কানিজ ফাতেমা। জানা যায়, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা’র দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জেসি মাহমুদকে (১৭) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সে সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে এবং আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের (এভিজেএম) দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। জেসি মায়ের সাথে মুন্সীগঞ্জ শহরের কোর্টগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতো।

আরো জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় জেসিকাকে সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসকদের কাছে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার কথা বলেন বিজয়। এরপর পালিয়ে যান তিনি। গুরুতর অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে মৃত্যু হয় জেসিকার।

জেসিকার ভাই জিদান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয় জেসিকা। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে ফেরেনি। ৬টার সময় হাসপাতাল থেকে বাড়ির পাশের প্রতিবেশী বিজয় নামের এক বন্ধু ফোন দিয়ে জানায় জেসিকার অবস্থা খারাপ, সে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে। আমরা হাসপাতালে যাওয়ার আগেই বিজয় চলে যায়। ঢাকায় নেয়ার পথে বোনের (জেসিকার) মৃত্যু হয়।’

জিদানের দাবি, ‘এটা হত্যাকাণ্ড। ওরা আমাদের বলছে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে। আর হাসপাতালে জানিয়েছে পড়ে গেছে।’ নিহতের মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে অনেক নির্যাতনের পর মেরে ফেলছে বিজয়। আমি এর বিচার চাই।’

হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে একজন ২০-২১ বছরের ছেলে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল। রাত ৮টার দিকে আবার মৃত অবস্থায় লাশ হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখ ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

চিকিৎসক আরো বলেন, পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে ছেলেটি। তবে এমন ঘটনা হলে মাথায় রক্তক্ষরণের চিহ্ন থাকতো, যা ওই মেয়েটির ছিল না।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে আছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্ধুর বাবা-মাকে আনা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে তাই অপমৃত্যু মামলা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ কী। সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement