১৫ মে, ২০২৪, বুধবার

ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাই কাজে দিয়েছেঃ হৃদয়

Advertisement

তাওহীদ হৃদয় নেমেছিলেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে তার অভিষেক হয়। স্বাভাবিকভাবেই চাপ ছিল খুব, ছিল সমর্থকদের চোখ। ফলে বেশ ভারীই ছিল প্রত্যাশার পাহাড়। তবে সব সামলে নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, করেছেন বাজিমাত।

দেশের হয়ে অভিষেকেই সর্বোচ্চ রান করে ইতিহাস তো বদলেই দিয়েছেন, গড়তে পারতেন নতুন আরো এক ইতিহাস; তবে তা আর হয়নি, ভাগ্যের লুকোচুরিতে ‘শতক’ দিয়েছে ফাঁকি। হৃদয়ের এমন পরিণতিতে হৃদয় ভেঙেছে সমর্থকদের, এত সুন্দর ইনিংসটাও অতৃপ্তিতেই পরিসমাপ্তি।

অবশ্য যতক্ষণ মাঠে ছিলেন হৃদয়, হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন তিনি। দেখে বুঝার উপায় নেই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন, একদম প্রথম বল থেকেই স্বাচ্ছন্দে খেলছেন; ছিলেন সাবলীল। আটটি চারের সাথে দুটি বিশাল ছক্কাও হাঁকিয়েছেন, আক্ষেপ সঙ্গী করে থেমেছেন ৮৫ বলে ৯২ রানে।

অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারের সংখ্যাই বা কত! মোটে ১৬ জন। এমন বিরল কীর্তির খুব কাছে থেকেও হাতছাড়া করায় কোনো আক্ষেপ নেই হৃদয়ের, ইতিহাস গড়তে না পারায় দুঃখও নেই তার। ম্যাচ শেষে হাসিমুখে স্পষ্টই বললেন, ‘কোনো আক্ষেপ নেই। আমি শুরুতেও তো আউট হতে পারতাম! যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়া।’

জাতীয় দলের হয়ে মোটে তিন টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা থাকা হৃদয় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নেমে এত সাহস পেলেন কোথায়, তা বিস্ময়করই বটে। তবে হৃদয় জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাই কাজে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ওয়ানডেতেই অভ্যস্ত বেশি। চেষ্টা করেছি নিজের পরিকল্পনায় লেগে থাকার।’

কী সেই পরিকল্পনা, তাও জানাতে ভুললেন না হৃদয় বললেন, ‘আমি প্রথম থেকে চেয়েছি ‘ইন্টেন্ট’ যাতে ঠিক থাকে। কখনো ভাবিনি সেট হয়ে নেই একটু বরং বলের লাইন অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া সাকিব ভাইয়ের সাথে খেলা ভালো একটা ব্যাপার, উনি অনেক অভিজ্ঞ। অনেক কিছুই শিখছিলাম তার থেকে।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement