১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

চাকরি হারাচ্ছেন ফিলিপসের ৬ হাজার কর্মী

Advertisement

লোকসানের চাপে এবার আরও ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফিলিপস। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রয় জ্যাকবস সোমবার (৩০ জানুয়ারি) কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বজুড়ে আরও চার হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল ফিলিপস। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপসের সিইও রয় জ্যাকবস সোমবার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সংস্থাটিতে কর্মরত প্রায় ৬ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছেন। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মী সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার কথাও বলেছেন তিনি।

জ্যাকবস সোমবার বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন, তারপরও ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের কর্মীসংখ্যা আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের মূলত চাকরি যেতে পারে।

জ্যাকবস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফিলিপস এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের জন্য ২০২২ সাল খুব কঠিন একটি বছর ছিল। আর তাই আমরা আমাদের কর্মকাণ্ড উন্নত করতে এবং জরুরিভাবে কর্মক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

ফিলিপস চিকিৎসার বিভিন্ন প্রযুক্তি সরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। তবে সম্প্রতি এই সংস্থার তৈরি স্লিপ ডিভাইস যন্ত্রে ত্রুটি পাওয়া যায়। মূলত স্লিপ অ্যাপ্নিয়ার চিকিৎসার জন্য একটি ভেন্টিলেটর বাজারে এনেছিল সংস্থাটি। তবে এই ডিভাইসে ব্যবহৃত ফোম বিষাক্ত হতে পারে এরকম একটা জল্পনা রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

তাই ডিভাইস বাজারে এনে খুব একটা লাভের মুখ দেখেনি ফিলিপস। আর এর জেরেই সংস্থাটিকে বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি পণ্য প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠানটি।

এএফপি বলছে, অ্যামস্টারডমের এই সংস্থাটি ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মোট ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। আর ২০২১ সালে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.৬ বিলিয়ন ইউরো।

মূলত করোনাভাইরাস মহামারি ও লকডাউনের জেরে বিশ্বের একাধিক বড় সংস্থা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ছাঁটাইসহ বহু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা দেখা গেছে। এছাড়াও বেতন কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রমোশন বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনার উদাহরণও রয়েছে।

এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এসব কারণেই বাড়ছে বহুজাতিক সংস্থাগুলোর কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পদক্ষেপ। যার আঁচ পড়েছে ফিলিপসেও।

উল্লেখ্য, ১৩০ বছর আগে লাইটিং সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে ফিলিপস। তবে সম্প্রতি বহুজাতিক এই সংস্থাটির পরিকাঠামো ও পণ্যতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর এই কারণে হাই-এন্ড ইলেকট্রনিক হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট তৈরির ওপরও নজর দিয়েছে সংস্থাটি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement