১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

চাল আমদানিতে শুল্ক কমল প্রায় ৩৭ ভাগ

Advertisement

দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। এর মধ্যে কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি বা আবগারি শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যান্য ১.৭৫ শতাংশসহ মোট ৩৬.৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর।

বর্তমানে সব মিলিয়ে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য রয়েছে। ছাড়কৃত শুল্ক-কর বাদ দিলে চাল আমদানিতে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিমের সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ আদেশ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আদেশে সেদ্ধ চাল ও ব্রোকেন রাইসের ক্ষেত্রে আরোপিত আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পরিমাণ এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শর্তানুযায়ী প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির পূর্বে প্রতি চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের চালের মজুদ ১৭ লাখ মেট্রিক টন। চলমান বোরো সংগ্রহ অভিযানে ইতিমধ্যে সাড়ে আট লাখ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চাল সংগ্রহের সময় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চাল আমদানিতে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল, কৃষককে ধান চাষে আবারও আগ্রহী করে তোলা এবং স্থানীয় সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করা।

চালের বাজার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই এর সুফল দৃশ্যমান হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement