২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

চিকেন পক্সের লক্ষণ ও করণীয়

Advertisement

বসন্ত বা চিকেন পক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ। সংক্রামক হওয়ায় একজনের শরীর থেকে দ্রুত আরেকজনের শরীরে ছড়ায়। প্রথম দু-এক দিন শরীরে সামান্য ব্যথা, জ্বর থাকে। তারপর সারা শরীরের ত্বকে গুটি গুটি দানা বেরোয়। সেগুলো প্রথমে লালচে থাকলেও ধীরে ধীরে পানিতে ভরে ওঠে এবং তাতে প্রচণ্ড চুলকায়।

শিশুদের এ রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে। ছোঁয়াচে এ রোগ সারা বছর দেখা গেলেও শীতের শেষে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়।

চিকেন পক্সের কারণ

যে ভাইরাসের মাধ্যমে রোগটি হয় তা হলো ভেরিসেলা ডোস্টার ভাইরাস। পক্স হলে শরীরে জ্বর হয় এবং সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এই ফুসকুড়ি তীব্রভাবে চুলকায়।

লক্ষণ

* দুর্বলতা

* মাথা ব্যথা

* সর্দি

* জ্বর ভাব

* ঠাণ্ডা লাগা

* সারা শরীরে ব্যথা

ভাইরাস সংক্রমণের কিছুদিনের মধ্যে শরীরে ঘামাচির মতো দানা দেখা দেয়। পরে সেগুলো বড় হয়ে ভেতরে পানি জমে থাকে। এর সঙ্গে বাড়ে জ্বর ও দুর্বলতা।

করণীয়

* এটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই রোগীকে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখুন। রোগীর ব্যবহৃত পোশাক, গামছা যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। অ্যালার্জি বাড়ে এমন পরিবেশ ও খাবার এড়িয়ে চলুন।

* পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন। রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আলাদা রাখুন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে নিমপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন।

* কষ্ট হলেও শরীর চুলকানো থেকে বিরত থাকুন। চিকেন পক্সের ক্ষত খুঁটলে স্থায়ীভাবে দাগ বসে যাবে। তবে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে দাগ এমনিতেই চলে যায়।

* সাধারণত বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োজন হয় না। নিয়ম মেনে চললে ১০ থেকে ১৫ দিনেই পক্স ভালো হয়ে যায়।

* জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত চুলকানোর জন্য অ্যান্টি-হিসটামিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। চিকেন পক্স হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’-যুক্ত খাবার ও শাকসবজি খান।

সতর্কতা

* চোখে পক্স উঠলে চিকিৎসা নিতে অবহেলা করা যাবে না।

* ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর পক্স হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement