১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

সাংবাদিককে কোপালেন ছাত্রলীগ নেতা

Advertisement

সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে উপর্যুপরি ক্ষুরের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করেছেন। পরে সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর হামলাকারীরা সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় গিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি কোপায়।

গতকাল সোমবার রাতে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমার্জেন্সি রোডে ও দ্বিতীয় দফায় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আহত সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিম। তিনি (সোহলে রানা ডালিম) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার আবদুল করিমের ছেলে। এমনকি তার শরীরে দুই শতাধি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ডালিম গতকাল (১৬ আগস্ট) সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পত্রিকা অফিসের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা দেন। যখন তিনি শহরের ইমার্জেন্সি রোডস্থ আবদুল্লাহ সিটি কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছান তখন তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।

ধাক্কা লাগা মোটরসাইকেলে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ ও তার দুই কর্মী। কিন্তু নিয়ে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। সাংবাদিক ডালিমকে একপর্যায়ে ক্ষুর দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

তারপর ঘটনাস্থল থেকে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল ডালিমকে। তখন আর ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবার বর্বরোচিত হামলা চালানো হয় সাংবাদিক ডালিমের ওপর।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. শাকিল আর সালান বলেন, হাত, পিঠ, পেট ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি জাতীয় কোনো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে সাংবাদিক ডালিমের। তার শরীরে চিহ্নিত সব আঘাতকেই মেডিকেলের ভাষায় সিভিআর ইনজুরি বলে। এমনকি তার শরীরে দুই শতাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।

তখন তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যে কোনো সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনার পরপরই এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজু আহমেদ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement