২৬ এপ্রিল, ২০২৪, শুক্রবার

পর্যটকরা বিচে রাত কাটাতেও ভয় পাচ্ছেন না

Advertisement

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সরকারি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এবং পর্যটনবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা গেলে কক্সবাজার দেশের পর্যটনখাতে আয়ের বড় উৎস হয়ে উঠবে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে ঢাকা থেকে সফরে যাওয়া জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে নিরাপদ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আমার বিশ্বাস এভাবেই দেশের ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এসময় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের কারণে মানুষের মধ্যে সেন্স অব সিকিউরিটি বেড়েছে। পর্যটকরা বিচে রাত কাটাতেও ভয় পাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে একটা ফিলিংস এসেছে যে আমরা এখানে সেফ (নিরাপদ), কোনো সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, ট্যুরিস্ট পুলিশ দেশের ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে পারবে।

মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের লোকজন মালদ্বীপে বেড়াতে যাচ্ছে অথচ আমাদের রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। আমাদের আশা, এ কনসেপ্ট নিয়ে যদি আমরা কাজ করি এবং বিচের সুযোগ-সুবিধা যদি বাড়ানো যায় তাহলে এখানে বিদেশি ট্যুরিস্ট অবশ্যই আসবে। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশ ধারণা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম পোস্টিং ট্যুরিস্ট পুলিশে দিলে তাদের মানসিক প্রস্তুতিটা আরও বেশি পর্যটকবান্ধব হতে পারে। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিজিটালাইজেশন ও আধুনিকায়নের ওপরও জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণ, মাতারবাড়ি, নাফ নদীর পাশে নাফস স্পেশাল ট্যুরিজম, গেজা সাবরাংয়ের পাশে স্পেশাল ট্যুরিস্ট স্পট হচ্ছে। আমি মনে করি এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত হবে পর্যটন। একদিন এ খাত প্রথম হবে জিডিপি অর্জনে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে ট্যুরিজম খাত দ্রুত উন্মোচিত হবে। করোনার ক্রান্তিকাল সত্ত্বেও ট্যুরিজম খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২৪ অর্জিত হয়েছে। ২০১৮ সালে এ খাতে ৪ দশমিক ২২ জিডিপি অর্জিত হয়েছিল। করোনা সংকটে ব্যাপক স্থানীয় পর্যটকরা বেড়াতে এসেছে। যা অবাক করার মতো।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement