আন্তর্জাতিক বাজারে যে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ে। ফ্রি মার্কেট ইকোনমিতে এটা তো হবেই। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সাধারণ মানুষের কাছে টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ‘এয়ার লাউঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি দেখতে, সেখানকার মার্কেট প্রাইসের ওপর নির্ভর করে আমরা রিঅ্যাডজাস্ট করব। আশা করি রমজানের সময় এক কোটি পরিবার সহযোগিতা পাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে বলেই দেশেও বাড়ছে। পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা উঠেছিল। গত সপ্তাহে কৃষিমন্ত্রী আমাকে বলেছিল-‘টিপু ভাই ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকরা কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ অতএব কমছে না, তা কিন্তু না। আজকে বেসিক যেটা থিউরি সাপ্লাই এবং ডিমান্ড। এই দুইটার সঙ্গে ব্যালেন্স করে দাম বাড়বে।
তবে তেল, চিনি ও ডালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে কমে-বাড়ে। যেহেতু আমাদের ৯৯ শতাংশ ডিপেন্ড করতে হয় বাইরের ওপরে, যেহেতু বাহিরে দাম বাড়ার কারণে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সেভাবে ব্যবসা করে। আমাদের দায়িত্ব হলো যেখানে সমস্যা, সেখানে ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে চেষ্টা করা। আমাদের প্ল্যান ছিল ৫০ লাখ মানুষকে টিসিবি পণ্য দেওয়ার, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এক কোটি মানুষের জন্য আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।