২৭ এপ্রিল, ২০২৪, শনিবার

পঞ্চগড়ে ৮০ লাখ টাকার ফুল চাষ প্রকল্প

Advertisement

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দর্জিপাড়া গ্রামে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। স্থানীয়রা বলছেন, তেঁতুলিয়ার মতো গরিব এলাকার জন্য এত অর্থ ব্যয়ে ফুলচাষ বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। লুটপাট করার জন্যই সংস্থাটি এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

তবে প্রকল্প কর্মকর্তারা আশা করছেন, ফুল বিক্রি আর পর্যটকদের বাগানে প্রবেশ ফি দিয়েই ব্যয় উত্তোলন করা হবে।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য দরিদ্র, অতিদরিদ্র প্রান্তিক চাষিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। একই সঙ্গে তেঁতুলিয়া উপজেলার পর্যটনশিল্পকে আরও এগিয়ে নিতেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্টের আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় এই টিউলিপ ফুলচাষ প্রকল্প। ২০ জন উদ্যোক্তার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করছে ইএসডিও।

ইএসডিও’র দেওয়া তথ্যমতে, নেদারল্যান্ড থেকে প্রতি পিচ ফুল গাছের বীজ আনতে ৫৫ টাকা খরচ। দুই একর জমিতে ১০ রংয়ের এক লাখ বীজ রোপণ করা হয়েছে। বীজের দাম ছাড়াও শেড নেট, ফেন্সিং নেট, রাসায়নিক সার, জৈবসার, কীটনাশক ও শ্রমসহ ৮০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

প্রকল্প সমন্বয়কারী কল্যাণ মহন্ত জানান, বাগানের ভেতরে প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, একটি ফুল ১০০ ও টব ২০০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি ফুল কিনতে বা দেখতে গেলে দর্শনার্থীদের বাগানে প্রবেশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা। বাগানে প্রবেশের সামনে খাওয়ার হোটেল, পান-সিগারেটের টং দোকান থাকলেও ক্রেতার কোনো সমাগম চোখে পড়েনি।

পঞ্চগড় থেকে টিউলিপ ফুলের বাগান দেখতে আসা শাহজাহান, মিলন, আলিম জানান, বাগান দেখতে ভালোই লাগল, তবে প্রবেশ টিকিটের ফি ও ফুলের দাম অনেক বেশি। সবার পক্ষে সেখানে যাওয়া ও ফুল কেনা সম্ভব না।

উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম জানান, গত ১০ জানুয়ারিতে ফুলের বীজ রোপণ করা হয়েছে। ২০ দিনেই ফুল ফুটতে শুরু করেছে। ফোটার পর থাকবে আরও ৩০ দিন।

প্রোগ্রাম ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আইনুল হক জানান, ট্যুরিজমের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমরা স্থানীয়ভাবে ফুল বিক্রির চেষ্টা করব। এ ছাড়া ঢাকার ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ফুল ক্রয়ে তারা আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু বীজের দামটা একটু বেশি পড়ে যায়। কৃষি অধিদপ্তর যদি সহযোগিতা করে তাহলে হয়ত খরচ আরো কমে আসবে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান জানান, পর্যটকদের জন্য টিউলিপ ফুলের চাষ ভালো দিক, তবে এত বেশি টাকা খরচ হওয়ার তো কথা না।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement