রাজধানীর পল্টন মাঠ ঐতিহাসিক। আগে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হলেও বেশ কয়েক বছর শুধু ক্রীড়াঙ্গনের জন্যই ব্যবহার হয়। দিনব্যাপী এখানে ফুটবল, ক্রিকেটসহ আরও অনেক খেলা-ই হয়। প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও হয় অনেক।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের জন্য প্রয়োজন ড্রেসিংরুম ও ওয়াশরুম। এই দুটি প্রয়োজনীয় রুম না থাকায় খেলোয়াড়রা ভোগান্তিতে পড়েন। আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় স্কুল ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করতে এসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিষয়টি অনুধাবন করেন এবং এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের বলেন, এ মাঠে আমাদের আসা কম হয়। অবশ্যই ড্রেসিংরুম ও ওয়াশরুমের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি আগে সেভাবে আমাদের বলা হয়নি। আমরা ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক দুটি ড্রেসিংরুম ও ওয়াশরুম করে দেব।
এ মাঠটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) অধীনে। এনএসসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন ফেডারেশন এই মাঠ ব্যবহার করে। ফুটবল, রাগবি মূলত এই মাঠ বেশি ব্যবহার করে প্রতিযোগিতামূলক খেলার জন্য। ক্রিকেট বোর্ড এটি ব্যবহার না করলেও স্থানীয় অনেকেই মাঠের এক পাশে ক্রিকেট অনুশীলন করে।
ফুটবল ফেডারেশনের দাবি ছিল, এই মাঠটি টার্ফ করে দেওয়ার। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মাঠটি টার্ফ করার পক্ষে নন। তিনি বলেন, এখানে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলে অনেকে। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনেক বাচ্চারা যেতে পারে না। এখানে অনেকে ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা খেলা খেলে থাকে। ফলে এই মাঠটি উন্মুক্ত থাকাই শ্রেয়।
পল্টন ময়দানে আজ বিকেলে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে। আটটি দল দুই গ্রুপে খেলছে। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ সেমিফাইনাল খেলবে। আজ চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিফা, এএফসি ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, বাফুফের আরেক নির্বাহী সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরি, মহিদুর রহমান মিরাজ ও স্কুল ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান বিজন বড়ূয়া।