১৪ মে, ২০২৪, মঙ্গলবার

পাবনায় শিশু পার্কের ভেতরে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

Advertisement

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ব্যতিক্রমধর্মী উন্মুক্ত লাইব্রেরি ‘নির্ঝরণী’। উপজেলা পরিষদের শিশু পার্কের ভেতরে এই উন্মুক্ত পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের উদ্যোগে নির্মিত এই পাঠাগার ভাঙ্গুড়ার সব বয়সী জ্ঞান পিপাসুদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের পশ্চিম পাশে রয়েছে ছোট একটি শিশু পার্ক। এই পার্কের মাঝে একটি পুকুর ও এর চার পাশের রয়েছে ফুলের বাগান। এমন সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে স্থাপন করা হয়েছে উন্মুক্ত পাঠাগার নির্ঝরণী। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই নানা বয়সী মানুষ এখানে অবসর সময়ে চলে আসেন বই পড়তে। গত বছরের মে মাস থেকে পাঠাগারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান, নির্ঝরণী শব্দের অর্থ হল নদী। তবে এই শব্দ দ্বারা এখানে কোনো নদীকে বুঝানো হয়নি। এখানে প্রতীকী অর্থে জ্ঞানের প্রবাহকে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে ‘নির্ঝরণী’ শব্দটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব বয়সী পাঠক আসছে এই লাইব্রেরিতে। তারা সেখানে নিজেদের পছন্দের বই পড়তে পারছেন। কেউ বা পত্রিকা পড়ছে। উন্মুক্ত এই পাঠাগারে রয়েছে চার তাকওয়ালা বুকশেলফ। এই শেলফে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের গল্প, কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের বই বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ওপর লেখা বই, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিশুতোষ এবং ধর্মীয়সহ পাঁচ শতাধিক বই রয়েছে।

ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের পরিকল্পনা ও অসাধারণ নির্মাণশৈলীর উন্মুক্ত এ পাঠাগার দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এই পাঠাগার চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রাতেও যেন পাঠক বই পড়তে পারেন তার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। পাঠকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে এ লাইব্রেরিটি।

লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসা ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না আশরাফি জানান, ‘কোলাহল মুক্ত পরিবেশ হওয়ায় ছুটির দিনে সময় পেলে এখানে চলে আসি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খাঁন বলেন, ‘মননশীলতার চর্চা করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্য নিয়ে মানুষের মাঝে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগাতেই আমার এই প্রয়াস। লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, ধর্মীয়, দেশি-বিদেশিসহ পাঁচ শতাধিক লেখকের বই রয়েছে। পাঠকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে উন্মুক্ত এ লাইব্রেরিটি। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এখানে আসে এবং বই পড়েন।’

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement