১৯ মে, ২০২৪, রবিবার

নতুন অ্যাকর্ডে ‘খুশি’ নয় বিজিএমইএ

Advertisement

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা নানা রকম কৌশল, আইনি লড়াই ও উদ্যোগের পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কর্মরত ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘস্থায়ী হলো না সেই স্বস্তি।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের চাপে নতুন রূপে ও আগের চেয়ে বড় পরিসরে আসছে অ্যাকর্ড।

এমনকি চুক্তিও হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। যার ফলে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ স্বাভাবিকভাবে পুরো বিষয়টিতে খুশি হতে পারেনি। এই নতুন অ্যাকর্ডের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার চার দিন পর গতকাল রোববার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড গঠনের ঘোষণা দিয়ে জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে,তা এই শিল্পের অংশীজনদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। কারণ, আন্তর্জাতিক অ্যাকর্ড চুক্তিটি বাংলাদেশে স্বাধীন জাতীয় ত্রিপক্ষীয় আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিল (আরএসসি) দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে-এই ঘোষণা বিভ্রান্তিকর।

রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পর। তার পর থেকেই নেদারল্যান্ডসে সীমিত পরিসরে চলতি মাসে কার্যক্রম চালানো অ্যাকর্ডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সেটি অবশ্য হচ্ছে না।

অ্যাকর্ড ফিরছে নতুন নামে। নাম হচ্ছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকর্ড ফর হেলথ অ্যান্ড সেফটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকর্ড। এ অ্যাকর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ অনেক ব্র্যান্ডই নতুন চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে বর্তমানে।

গত বুধবার ইন্ডাস্ট্রিয়ল গ্লোবাল কাউন্সিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন অ্যাকর্ড কেবল কারখানা ভবন ও অগ্নিনিরাপত্তা নয়, তদারকি করবে কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ও। এছাড়া প্রথম দুই বছরে অন্তত একটি দেশে কার্যক্রম চালু করবে অ্যাকর্ড। আর এ জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এছাড়াও বাংলাদেশে আরএসসির কাজ তদারকি করবে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকর্ড।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement